ঢাকায় মৃতের সঙ্গে নিখোঁজের সংখ্যাও 
যুক্ত হচ্ছে

কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেওয়া অনেকেই এখনো ঘরে ফিরেননি। এই মুহূর্তে কত মানুষ নিখোঁজ তারও কোনো হিসাব নেই। পরিবারের লোকজন থানা বা আইনশৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো হদিস পাচ্ছে না। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় সন্ধান চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করতে পারেননি। এখন ইন্টারনেট ফিরে এলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ থাকায় নিখোঁজের বিষয়টি প্রচারও করতে পারছেন না।

এদের কি হয়েছে কেউই বলতে পারছেন না। এরা কি সংঘর্ষ চলাকালে নিহত হয়েছেন নাকি পুলিশি অভিযানের কারণে আত্মগোপনে চলে গেছেন তার কোনো সঠিক তথ্য নেই। এমনকি থানায় অভিযোগ করলে পুলিশও প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান দিতে পারছেন না। আন্দোলনকারী কর্মীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, তাদের অনেক সহকর্মীকে আইনশৃংখলা বাহিনী ধরে নিয়ে গুম করছে।

এমনই একজন ফুয়াদ আল খলিল। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার নিখোঁজ হয়েছেন তিনি। পরিবার হন্যে হয়ে  খুঁজেও এক সপ্তাহ ধরে কোনো সন্ধান পাচ্ছে না।  

ফুয়াদের পরিবারের এক সদস্য জানান গত মঙ্গলবার মিরপুর থেকে নিখোঁজ হয়েছেন ফুয়াদ। সে ঐদিন মিরপুর ১ থেকে বাসায় যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন। রাত ৯ টার পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ ছিলো। থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় মোবাইলের মাধ্যমে পুলিশ তার হদিস করতে পারছে না। রাস্তার সিসিটিভির সূত্র ধরে তার সর্বশেষ অবস্থান জানা গেছে।  তার সর্বশেষ অবস্থান ছিলো দারুসসালাম এলাকা।

ফুয়াদ গত বছর গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। তার বয়স আনুমানিক ২২/২৩। গায়ের রং ফর্সা। উচ্চতা ৫ ফুট ৫/৬ ইঞ্চি। পরিবারের পক্ষ থেকে তার সন্ধানের জন্য সবার সহযোগীতা চাওয়া হয়েছে।