আওয়ামী লীগের ভারত-ইসরায়েল লবি আর কাজ করছে না

চলমান ছাত্র আন্দোলনের কারণে সারা বিশ্বেই সমালোচনার মুখে পড়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার ও কর্তৃত্ববাদী শাসক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালানোর প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে।

এখন চলছে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের একদফা দাবির আন্দোলন। সবমিলিয়ে সংকটময় সময় পার করছে আওয়ামী লীগ। বরাবরই সংকটের সময়ে আওয়ামী লীগের ত্রাতার ভূমিকায় দেখা যায় ভারত-ইসরায়েল লবি। কিন্তু এবার এই লবিও আর কাজে আসছে না বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।

বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্রে ভারত-ইসরায়েলের শক্তিশালী লবি আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করতো। কিন্তু সাম্প্রতিক হত্যাযজ্ঞের কারণে এই লবি কোথাও সুবিধা করতে পারছে না। আর পুরোনো কৌশলও কাজে লাগছে না।

আওয়ামী লীগ বরাবরই বিরোধী মত দমনের জন্য ইসলাম বিদ্বেষী রাজনীতির সুবিধা নিত। মোটাদাগে বিরোধী মতের সবাইকে ইসলামপন্থি, ডানপন্থি বা জঙ্গীবাদের ট্যাগ লাগিয়ে পরিস্থিতি নিজেদের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করতো। কিন্তু এবারের ছাত্র আন্দোলনকে কোনোভাবেই জঙ্গী বা রাজনৈতিক ট্যাগ লাগাতে পারেনি। ফলে পরিস্থিতিও নিজের অনুকূলে নিতে পারেনি।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা এবার নিশ্চিত হয়েছেন- এর সঙ্গে জঙ্গীবাদ বা ইসলামপন্থি রাজনীতির কোনো সংযোগ নেই। বরং তারা ছাত্র হত্যা নিয়ে বেশ ক্ষুদ্ধ। কেউ কেউ আবার বিব্রতও আওয়ামী লীগকে দীর্ঘ সময় সমর্থন করে আসার কারণে। 

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার কমিশনের একজন কর্মকর্তা সম্প্রতি একদল বাংলাদেশির সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই পরিষ্কার। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে।

সূত্রগুলো বলছে, এই মুহূর্তে ভারত ছাড়া আওয়ামী লীগের পক্ষে আর কেউ নেই। ভারত-ইসরায়েল লবি আর আগের মতো কাজ করছে না। ভারতও পরিস্থিতি বুঝে অবস্থান বদল করতে পারে। তখন আওয়ামী লীগ একদম একা হয়ে যাবে।