গত এক মাসে যা হয়েছে দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাসে

গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট- এ ২২ দিন ছিল ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের জন্য বিশেষ ব্যস্ততম সময়। দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, হাইকমিশনার ও প্রেস সেক্রেটারির সঙ্গে এ কয়দিনে যত অতিথি দেখা করেছেন, কিছুদিন আগেও দিল্লিতে শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফরের সময়ও দূতাবাসে এতো অতিথি আসেননি। বেশিরভাগ বৈঠকের ব্যাপারে হাইকমিশনার, আরেকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা (সাবেক এনএসআই কর্মকর্তা) ও প্রেস সেক্রেটারি ছাড়া বাকি কর্মকর্তারা অন্ধকারে ছিলেন।

ভিসা অফিসার সূত্রে জানা যায়, পঞ্চাশের অধিক ভারতীয় সাংবাদিক বাংলাদেশ গিয়ে ঘটনা কাভার করতে চাইলে প্রেস সেক্রেটারি তা আটকে দেন। বরং দিল্লির একজন প্রভাবশালী বাঙালি সাংবাদিকের করা তালিকা থেকে ১৪ জন শেখ হাসিনাপন্থি সাংবাদিককে ডেকে এনে ভিসা দেওয়া হয়। তারা বাংলাদেশে গিয়ে লাইভ কাভার করার কথা। কিন্তু ততদিনে পরিস্থিতি বদলে যায়। 

দ্য মিরর এশিয়ার কাছে অভিযোগ এসেছে, ভারতীয় ও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যারা আন্দোলনের পক্ষে দিল্লিতে জনমত তৈরি করছিলেন, হয়রানি করার জন্য তাদের একটি তালিকা করে একজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর এই কাজটিও করেন রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ পাওয়া প্রেস সেক্রেটারি।

এমনটি করতে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে সহযোগিতা করারও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়। কিন্তু সে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরং সেসব শিক্ষার্থীকে নিরাপত্তা দিচ্ছেন। এটি বুঝতে পেরে প্রেস সেক্রেটারি ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বাজে আচরণ করেন।

শেষমেশ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট পদত্যাগ করেন এবং দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন।