নির্যাতিত ব্যক্তিকে আইনের আশ্রয় নিতে হবে: দ্য মিরর এশিয়াকে তারেক রহমান

ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ যে কারো দ্বারা নির্যাতিত হলে ওই নির্যাতিত ব্যক্তিকে আইনের আশ্রয় নিতে হবে। কোনোভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না। সংঘবদ্ধ হয়ে সবাই যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করুন। দল হিসাবেও বিএনপি কোনো ব্যক্তির বিশৃঙ্খলার দায় কাঁধে নেবে না। 

দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় তিনি সোমবার (১২ আগস্ট) দ্য মিরর এশিয়াকে এসব কথা বলেন। 

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করে। গণহত্যার পরিকল্পনাকারী শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে গণহত্যা চালিয়ে শেখ হাসিনা দেশকে নৈরাজ্যের মুখে ফেলে দেন। তার পদত্যাগের পর যে কারণে দেশজুড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। হামলা, ভাঙচুরে লিপ্ত হয় অনেকে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে দলের নেতাকর্মীদের বিশৃঙ্খল আচরণ না করার স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়। দলের নির্দেশের বাইরে গিয়ে যারা নানা ধরনের বিশৃঙ্খল আচরণ করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। সোমবার পর্যন্ত  বিভিন্ন অভিযোগে বিএনপিসহ এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের একশ’র বেশি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়।

বিএনপির দফতর সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছেন, নিজ এলাকায় পুকুর দখল করার অভিযোগে দলের বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিনের পদ স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সারাদেশের নেতাকর্মীদের সতর্ক করা হয়েছে। কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ রয়েছে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। 

এ দিকে সোমবার যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন জানিয়েছেন, শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সারাদেশে অন্তত একশ’ যুবদল নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন সংগঠনে নেই এমন নেতাকর্মীদের কেউ কেউ এসব অপকর্ম করছে। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হচ্ছে। প্রমাণ পেলে বহিষ্কার করা হচ্ছে। 

অভিযোগ রয়েছে, গত রবিবার সকালে মতিঝিলে এস আলম গ্রুপের হয়ে ইসলামী ব্যাংক দখলে নিতে নেতাকর্মীদের নিয়ে হামলা চালান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম নয়ন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র নিয়ে সেখানে গোলাগুলির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশও হয়েছে। 

এ অভিযোগ বিষয়ে যুবদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নয়নের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দখল, চাঁদাবাজি কিংবা অন্য কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে সংগঠনের নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছে সোপর্দ করার অনুরোধ জানিয়েছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ নুরুল ইসলাম নয়ন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়নের নাম ব্যবহার করে কেউ যদি কোথাও কোনো অনৈতিক সুবিধা দাবি করে, তৎক্ষণাৎ তাকে ওখানেই আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করুন। পাশাপাশি তার রাজনৈতিক পরিচয়সহ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বা যুবদল দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেলে নিম্মোক্ত নম্বরে অবহিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। সভাপতি মুন্না ০১৯৬৬০২২০১০, সাধারণ সম্পাদক নয়ন ০১৭১২০২৮১২৬ ও সোহেল ০১৫৭৬৯১২০৮৫।