১৬ বছর কথা বলার সাহস করেননি, ১৬ দিনে সব সমস্যার সমাধান চাচ্ছেন

১৬ বছর কথা বলার সাহস করেননি, ১৬ দিনে সব সমস্যার সমাধান চাচ্ছেন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, বিগত ১৬ বছর ধরে যারা কথা বলতে সাহস করেননি, ৫৩ বছরে যারা রাস্তায় নামার চেষ্টা করেননি, তাদের এখন ১৬ দিনের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান আশা করা অযৌক্তিক। তিনি দাবি করেন— এই মানুষগুলো ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত উদ্দেশ্য সাধনের জন্য রাজপথে নেমেছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করছেন।

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের দেখতে গিয়ে সারজিস আলম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর সরকার পতনের পর আন্দোলন ও বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

সারজিস আলম দাবি করেন, বর্তমানে আন্দোলন-বিক্ষোভের উদ্দেশ্য ভিন্ন। রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নতির জন্য সময় প্রয়োজন। যদি অবরোধ করে বিভিন্ন জায়গায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা হয়, তবে এর মানে হচ্ছে রাষ্ট্রের উন্নতির পথে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তার মতে— আন্দোলনকারীদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে।

বিগত সরকারের দুর্নীতির ব্যাপারে মন্তব্য করে সারজিস আলম বলেন, আমরা বৈষম্য বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, একক বৈষম্যের বিরুদ্ধে নয়, বরং বাংলাদেশের সব সেক্টরের বৈষম্যের বিরুদ্ধে। ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকার দেশকে দুর্নীতির বাংলাদেশে পরিণত করেছে। আমাদের কাজের শুরু হয়েছে, ধাপে ধাপে আমরা এগিয়ে যাব।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সময় দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, আপনারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দিন। সমালোচনা করতে পারেন, তবে আমাদের কাছে আসুন। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিংবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে বসার ব্যবস্থা করে দেব। তবে রাষ্ট্রকে স্থিতিশীল করার জন্য তিন থেকে ছয় মাস সময় দিতে হবে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, ‘যে বিষয়গুলো আগে প্রকাশ করতে পারেননি, সেগুলো এখন প্রকাশ করুন। কারণ, এটি আপনাদের দায়িত্ব।’

হাসপাতালে পরিস্থিতি নিয়ে সারজিস আলম বলেন, ‘গত ১৬ বছরে হাসপাতালগুলোতে কিছু রক্তচোষা সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। যদি আপনারা টাকা খাওয়ার ব্যবসা বন্ধ না করেন, ছাত্রসমাজ কীভাবে বন্ধ করতে হয় জানে। আসুন, মানুষের পাশে দাঁড়াই। রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে হলে প্রত্যেককে সৎভাবে কাজ করতে হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ, আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়েখ আহমদ উল্লাহ প্রমুখ।