কারাগার থেকে মুক্ত রিজেন্টের সাহেদ
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ। বুধবার বিকেল সাড়ে ৬টায় তাকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এর আগে বিকেল ৫টায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইনে দায়েরকৃত মামলায় তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত। মো. সাহেদ করিম অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং মামলাসহ মোট ৯৬ মামলার আসামি।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২০ সালের ১৩ আগস্ট আদালতের মাধ্যমে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। তার কয়েদি নম্বর ছিল- ৬৩৭৮/এ।
২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। এর পর তার নামে প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাহেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হয়।
কারাগারে থাকাকালে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে সাহেদকে নোটিশ পাঠায় দুদক। নোটিশে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা হয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অতিরিক্ত আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। সাহেদ এর পরও তা জমা দেননি।
এরপর সম্পদের হিসাব না দেওয়া ও অবৈধভাবে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১ মার্চ দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলা করেন।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। এরপর গত বছরের ১৭ জুলাই সাহেদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
সাহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। এর মধ্যে অস্ত্র আইনের একটি মামলায় ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন একটি আদালত।