বিএসএফের হাতে স্বর্ণা হত্যার প্রতিবাদে ঢাকায় কর্মসূচি
সনাতনী কিশোরী স্বর্ণা দাসকে ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক হত্যা ও ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ।
রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ স্বর্ণা দাস হত্যা ও ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ভারতীয় পণ্য ও ভারত বর্জনের ডাক দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে এক হাজার নাগরিককে শেখ হাসিনা সরকার গুলি করে হত্যা করেছে। মোদি সরকার ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোন উদ্বেগ প্রকাশ করে নাই বরং জুলাই এবং আগস্টে যা হয়েছে তা বর্ণনা করেছে পার্লামেন্টে।
মিয়া মশিউজ্জামান, বিএসএফ কর্তৃক সনাতনী কিশোর স্বর্ণা দাস হত্যার নিন্দা জানান এবং তার আত্মার শান্তি কামনা করেন।
তিনি আরও বলেন, মোদি নিজেকে হিন্দুদের প্রতিনিধি দাবি করছে, হিন্দুদের জন্য দরদ দেখাচ্ছে আবার বিএসএফ দিয়ে হিন্দু কিশোরীকে হত্যা করল।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, ২০০০ সালের পর থেকে ভারত সীমান্তে দেড় হাজারের অধিক বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করে হত্যা করেছে। তারপরেও কিছু কিছু রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিগণ ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে চান। ভারতকে নারাজ করতে চান না। তারা ভাবেন ভারত তাদের ক্ষমতায় নিয়ে বসাবে।
তারেক আরও বলেন, ভারত যদি বাংলাদেশ সীমান্তে গুলি ছুড়ে তাহলে পালটা গুলি ছোড়া হবে। বাংলাদেশের নাগরিক এবার মরতে শিখেছে এবার তোমরা মরার জন্য প্রস্তুত হও। বিজিবি সেনাবাহিনীর পাশে দেশের জনগণ আছে।
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা আরিফ বিল্লাহ'র সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, আহ্বায়ক কর্নেল অব. মিয়া মশিউজ্জামান।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দের মাঝে আরও বক্তব্য দেন- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহবুব হোসেন, জিয়াউর রহমান, শামীম রেজা, ভাস্কর দুলাল শেখ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি, মোল্লা রহমতুল্লাহ, মুনতাসীরসহ অনেকে।