ইলিশ পাঠাতে ভারতের আবদার!
প্রতি বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে যায় বাংলাদেশের ইলিশ। কিন্তু এবার টানা চার মেয়াদ ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে কি না তা নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এবার ইলিশ দেওয়া হবে না এমন ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই ভারতের পক্ষ থেকে ইলিশ চেয়ে আবেদনের খবর পাওয়া গেল।
হিন্দুস্তান টাইমসের বাংলা সংস্করণের এক খবরে বলা হয়, প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসতে থাকে। তবে এবার অনিশ্চয়তার মধ্যেও কিছুটা আশার আলো দেখা গিয়েছে। ফিস ইমপোর্টার অ্য়াসোসিয়েশন ইলিশ রফতানির জন্য় আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের কাছে।
খবরে বলা হয়, গত ৫ বছর ধরে ইলিশ আমদানি হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। এবারও সেই রীতি মেনে ভারতে ইলিশ পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে আবেদন করেছে ফিস ইমপোর্টার অ্য়াসোসিয়েশন।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, এদিকে বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরা ও আসামে যায় বাংলাদেশের ইলিশ। বছর ভর এপার বাংলার মানুষ বাংলাদেশের ইলিশের জন্য মুখিয়ে থাকেন। আর বাংলাদেশের ইলিশ হলে পুজো একেবারে জমে যায়। গত বছরও ১৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ এসেছিল বাংলাদেশ থেকে। তবে এবার কতটা ইলিশ আসবে, আদৌ আসবে কিনা তা নিয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি।
এদিকে এবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোনো ইলিশ যাবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। গত ৩ সেপ্টেম্বর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্ট ফোরামের (এফএলজেএফ) সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে ফরিদা আখতার বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে এবার বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোনো ইলিশ মাছ যাবে না। এছাড়া আমরা কোনো মাংস আমদানি করতে চাচ্ছি না। এখন লাখ লাখ খামারি গবাদিপশু লালন-পালনের সঙ্গে জড়িত।
উপদেষ্টা বলেন, দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে তারপর ইলিশ বিদেশে রফতানি করা হবে। দেশের মানুষ ইলিশ পাবে না, আর রফতানি হবে, সেটা হতে পারে না। ফলে এবার দুর্গাপূজায়ও ভারতে যাতে কোনো ইলিশ না যায়, তার জন্য আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলেছি।