পোশাক আমদানি কমিয়েছে ইইউ, বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে ৩.৫৩%

পোশাক আমদানি কমিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ পোশাক আমদানি কমেছে। এটি পোশাকের ব্যবহার হ্রাসের বিস্তৃত বৈশ্বিক প্রবণতাকে তুলে ধরে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট আমদানি ৬১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমে ৫৯.৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।

বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) অন্যতম শীর্ষ পোশাক সরবরাহকারী বাংলাদেশের রপ্তানি ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমেছে।

এই হ্রাস ইইউ পোশাকের চাহিদার সামগ্রিক হ্রাসকে প্রতিফলিত করে, তবে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে গতিশীলতার পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্নও রয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ চীনের পোশাক রপ্তানি ৪ দশমিক ১০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৫৬২ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। তুরস্ক ও ভারতের মতো অন্যান্য প্রধান সরবরাহকারীদেরও রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে। তুরস্কের রপ্তানি ৭ দশমিক ৫২ শতাংশ কমে ৬ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং ভারতের ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ করে ৩ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ভিয়েতনামের ২ দশমিক ০৯ শতাশ কমে রপ্তানি মোট ২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।

বিপরীতে কিছু দেশ নিম্নমুখী প্রবণতা কাটিয়ে উঠেছে। ইইউতে কম্বোডিয়ার রপ্তানি ১২ দশমিক ৭৮ শতাংশ, পাকিস্তানে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ এবং মরক্কোতে ৬ দশমিক ০৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা বৈশ্বিক পোশাক বাজারে সোর্সিং পছন্দের সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়।

মূল সরবরাহকারীদের মধ্যে এই বৈচিত্রগুলো বিশ্বব্যাপী পোশাক সরবরাহ শৃঙ্খলে সামান্যই পরিবর্তনের পরামর্শ দেয়।