বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ, নিরাপত্তা জোরদার

বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ, নিরাপত্তা জোরদার

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ চলছে। শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এতে অংশ নিচ্ছেন। এদিন আন্দোলনকারীদের ঘিরে উৎসুক জনতার ভিড়ও দেখা গেছে। বঙ্গভবনের প্রধান ফটকের সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‍্যাব, এপিবিএন ও বিজিবির সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইনকিলাব মঞ্চ, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন ব্যানারের নেতাকর্মীরা। বুধবার এদিনের বিক্ষোভে তেমন কোনও সংগঠনের ব্যানার দেখা যায়নি। বিকাল ৪টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের একাংশ তারেক রহমানের নেতৃত্বে বঙ্গভবনের সামনে আসার কথা থাকলেও তারা আসেনি। তবে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে 'জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের' ব্যানারে একটি মিছিল বঙ্গভবনের সামনে আসে। তারা রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেয় এবং ২০ মিনিট বিক্ষোভ করে মিছিলটি চলে যায়।

ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক সোহেল রানা বলেন, “রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেখ হাসিনার দোসর ও মনোনীত ব্যক্তি। ছাত্র-জনতার সরকারের তাকে থাকা অধিকার নেই। অনতিবিলম্বে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগ করতে হবে। সাহাবুদ্দিন খুনি হাসিনার দোসর হলেও আমাদের রাষ্ট্রপতি। তাকে সম্মান করতে হবে। তাই তাকে বলছি, আপনি সসম্মানে চলে যান। অন্যথায় জনগণ আপনাকে ছাড়বে না।”

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বঙ্গভবনের সামনে কয়েকজনকে বসে থাকতে দেখা যায়। ইব্রাহিম সাব্বির নামে এক শিক্ষার্থী জানান, তারা এখানে সারা রাত অবস্থান করেছেন এবং রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত এখান থেকে যাবেন না।

বঙ্গভবনের সামনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কাঁটাতারের ব্যারিকেডসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, “বঙ্গভবনের প্রধান ফটকের সামনে কাটাতারের ব্যারিকেড বসানো হয়েছে যাতে আন্দোলনকারীরা ভেতরে ঢুকতে না পারে। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।”