রেকর্ড রেসিডেন্স পারমিট দিয়েছে রোমানিয়া, তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশ
চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে মোট ৩৯ হাজার ৭২৭টি প্রথম রেসিডেন্স পারমিট ইস্যু করেছে ইউরোপের দেশ রোমানিয়া। দেশটির অভিবাসন দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগ এই তথ্য জানিয়েছে।
রোমানিয়ার জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (আইজিআই) বলেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৩৯ হাজার ৭২৭টি প্রথম রেসিডেন্স পারমিট ইস্যু করা হয়েছে। এসব ব্যক্তি কাজের ভিসা, উচ্চশিক্ষা কিংবা পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসায় রোমানিয়া এসে প্রথম রেসিডেন্স পারমিট পেতে আবেদন করেছিলেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশ থেকে কাজ ও উচ্চশিক্ষার জন্য রোমানিয়ায় আসার হার উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
আইজিআই বলেছে, প্রথম রেসিডেন্স কার্ড পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শীর্ষে আছেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপাল থেকে আসা অভিবাসীরা। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৬১৫ জন নেপালি নাগরিক রেসিডেন্স কার্ড পেয়েছেন।
চার হাজার ৯১৬টি কার্ড পেয়েছেন শ্রীলঙ্কা থেকে আসা অভিবাসীরা। বাংলাদেশি অভিবাসীরা আছেন তালিকার তৃতীয় অবস্থানে। তারা তিন হাজার ৫৫২টি রেসিডেন্স পারমিট পেয়েছে।
মলদোভার নাগরিকরা পেয়েছেন দুই হাজার ৭১৩টি রেসিডেন্স পারমিট। তুরস্ক থেকে আসা অভিবাসীরা পেয়েছেন দুই হাজার ৬৬৫টি বসবাসের অনুমতিপত্র।
দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ ভারতের নাগরিকরা পেয়েছেন দুই হাজার ২৮৮টি রেসিডেন্স পারমিট। এছাড়া পাকিস্তানের নাগরিকরা পেয়েছেন এক হাজার ৪৬টি কার্ড।
এছাড়া মিসরীয়রা এক হাজার ১৮টি, চীনা নাগরিকরা এক হাজার ৮৪টি কার্ড, মরক্কো ৮৩৩টি এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকরা পেয়েছেন ৯ হাজার ৭৯৭টি প্রথম রেসিডেন্স পারমিট।
২০২৪ সালের ৩১ মার্চ থেকে ইউরোপের অবাধ চলাচলের শেনজেন জোনে আংশিক অন্তুর্ভূক্ত হয়েছে রোমানিয়া। ফলে শেনজেন প্রবিধান মেনে চলতে আগের বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় অনিয়মিত অভিবাসনবিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
শ্রম ঘাটতি মেটাতে রোমানিয়ায় স্থাপিত বড় কোম্পানিগুলো বিদেশি নাগরিকদের ওপর নির্ভর করছে। অপরদিকে, শেনজেন জোনে প্রবেশ করায় বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরাও উচ্চশিক্ষার জন্য দেশটিতে আসার হার বাড়িয়েছে। ইনফোমাইগ্রেন্টস।