চট্টগ্রামে যৌথ বাহিনীর ওপর হামলা, আহত ১২

চট্টগ্রামে যৌথ বাহিনীর ওপর হামলা, আহত ১২

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ধর্মীয় সংগঠন নিয়ে দেয়া পোস্ট শেয়ারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যৌথ বাহিনীর ওপর দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এতে ৬ সেনা সদস্য ও ৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে সেনাবাহিনীর জিপ এবং পিকআপ।

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার হাজারী গলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হাজারী গলি এলাকার এক দোকানি ফেসবুকে ইসকন নিয়ে ভাইরাল হওয়া একটি পোস্ট শেয়ার করেন। এর কিছুক্ষণ পর ইসকন সমর্থিত স্থানীয় কিছু তরুণ-যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই দোকানির ওপর হামলার চেষ্টা করে। উত্তেজনাকর পরিস্থিতির খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ হাজারী গলি গিয়ে দোকানিকে নিজেদের জিম্মায় নেয়।
 
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী তারেক আজিজ বলেন, দোকানিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন তাকে তাদের হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানান। ওই সময় তারা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। কিন্তু দোকানিকে না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে লোকজন যৌথ বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে আবারও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।

হামলার সময় দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়ে সেনা সদস্য ও পুলিশের ওপর এসিড সদৃশ কেমিক্যালও নিক্ষেপ করে। দুর্বৃত্তদের হামলায় ৬ জন সেনা সদস্য এবং ৬ জন পুলিশ আহত হন।
 
পুলিশ কর্মকর্তা তারেক আজিজ আরও জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনী কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের আটকে হাজারী গলি এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
 
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে আটক কয়েকজনের মোবাইল ফোনে কিছু নির্দেশনা সম্বলিত স্ক্রিনশট পেয়েছেন তারা। এগুলো থেকে তারা মন্দির ভাঙচুর চালিয়ে পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তোলার পরিকল্পনা বিষয়ে জানতে পেরেছেন।
 
পরিকল্পিতভাবে মন্দির এবং মূর্তি ভাঙার তথ্য পাওয়ার পর হাজারী গলিসহ নগরীর অন্য এলাকার মন্দিরের নিরাপত্তা জোরদার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।