অক্সফোর্ডখ্যাত কারমাইকেল কলেজের ১০৮ বছরপূর্তি আজ

অক্সফোর্ডখ্যাত কারমাইকেল কলেজের ১০৮ বছরপূর্তি আজ

উত্তর জনপদের অক্সফোর্ডখ্যাত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কারমাইকেল কলেজের ১০৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। শিক্ষার আলো বিতরণের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্বের গুণাবলীসম্পন্ন মানুষ তৈরির কারখানা হিসেবেই পরিচিত শতবর্ষী এই বিদ্যাপীঠ।

উত্তর জনপদে শিক্ষা বিস্তারের মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠা শতবর্ষী এই বিদ্যাঙ্গনের ১০৮তম বর্ষপূর্তি  উদযাপনে আজ রোববার দিনব্যাপী রয়েছে বর্ণিল আয়োজন। এই আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে প্রস্তুত নবীন-প্রবীণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ১০৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে ছিল সাজ সাজ রব ক্যাম্পাসজুড়ে। আলোকসজ্জাসহ ঐতিহ্যবাহী ভবনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। গৌরবময় পথচলার ১০৮ বছরপূর্তি উৎসবের আয়োজনে আজ রবিবার রয়েছে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ, কেককাটা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

‘এসো আজ তবে প্রাণে প্রাণে মিলি সবে’ স্লোগানে রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসের জি.এল হোস্টেল মাঠে পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী আয়োজনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। সকাল পৌনে ১০টায় বের হবে আনন্দ শোভাযাত্রা। এরপর রয়েছে আলোচনা অনুষ্ঠান।

দুই পর্বের অনুষ্ঠানমালার প্রথম পর্বে সকালের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. রবিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে থাকবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. একিউএম শফিউল আজম, কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোস্তাফিজুর রহমান, উপাধ্যক্ষ ড. রেহেনা খাতুন, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর দিলীপ কুমার রায়, কারমাইকেল কলেজ প্রাক্তন ছাত্র সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রকিবুস সুলতান মানিক। এতে সভাপতিত্ব করবেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর এ বি এম রেজাউল করীম।

বেলা আড়াইটা থেকে শুরু হবে সমাপনী পর্ব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ পর্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে থাকবেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী, রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। সভাপতিত্ব করবেন কারমাইকেল কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

১০৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর মো. শফিক হোসেন জানান, বৃটিশ শাসন, পাকিস্তানী শোষণ ও বাংলাদেশ সৃষ্টির আন্দোলন-সংগ্রামসহ নানা প্রেক্ষাপটের স্বাক্ষী কারমাইকেল কলেজ একটি ইতিহাস। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতবছরের যে গৌরব, অর্জন তা অবিস্মরণীয়। উত্তরের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ কারমাইকেল কলেজের ১০৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে সবধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করছি, নবীন-প্রবীণ শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় পরিণত হবে এ আয়োজন।

কারমাইকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস 

১৯১৬ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার গভর্নর লর্ড থমাস ডেভিড ব্যারন কারমাইকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তার নামানুসারেই কলেজের নামকরণ করা হয় কারমাইকেল কলেজ। ১৯১৭ সালের জুলাই মাসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এই কলেজে আইএ ও বিএ ক্লাস খোলার অনুমতি দেয়। সেই সময় থেকে প্রায় দুই বছরের জন্য কলেজটির পঠনপাঠনের কাজ চলে রংপুরের বর্তমান জেলা পরিষদ ভবনে। এরপর ১৯১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি কারমাইকেল কলেজের মূল ভবনের উদ্বোধন করা হয়। জার্মান নাগরিক ড. ওয়াটকিন ছিলেন কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ।

এই কলেজ প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে রয়েছে অনেক কারণ আর স্বপ্ন। ১৮৩২ সালে মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য রংপুর জিলা স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। এতে করে রংপুর অঞ্চলের মানুষ লেখাপড়ায় আগ্রহী হয়ে ওঠে। ওই সময়ে কোনো কলেজ না থাকায় উচ্চ শিক্ষার জন্য এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের ভারতের কোচবিহারে যেতে হতো। একটি মানসম্মত কলেজ প্রতিষ্ঠা ছিল রংপুরবাসীর আজন্ম লালিত স্বপ্ন।

১৯১৩ সালে অবিভক্ত বাংলার গভর্নর লর্ড ব্যারন কারমাইকেল রংপুর পরিদর্শনে এলে তার সংবর্ধনা সভায় কলেজ স্থাপনের দাবি উত্থাপিত হয়। রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও গাইবান্ধার জমিদার এবং শিক্ষানুরাগীদের দানে সংগৃহীত অর্থ এবং জমিদারদের দান করা ৯০০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠে কারমাইকেল কলেজ। রংপুর নগরী থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে এই কলেজের অবস্থান। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে উচ্চমাধ্যমিক, ডিগ্রি, সম্মান ও স্নাতকোত্তরে প্রায় ৩০ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন।

অবিভক্ত বাংলার যে কটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিপুল খ্যাতি অর্জন করেছিল এর মধ্যে কারমাইকেল কলেজ রয়েছে প্রথম সারিতে। ইংরেজ আমলের অবিভক্ত বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষার প্রসার ও প্রচারের জন্য অসামান্য খ্যাতির অধিকারী এই কারমাইকেল কলেজ। তৎকালীন রংপুর, দিনাজপুর অঞ্চলসহ অবিভক্ত ভারতের জলপাইগুড়ি, আসাম ও সংলগ্ন এলাকার শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির ক্ষেত্রে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। এই কলেজ বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত। ২০০১ ও ২০০৬ সালে দুটি পৃথক আইন পাসের মাধ্যমে কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয়। তবে আইন দুটি অদ্যাবধি কার্যকর হয়নি।

কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাস

গাছপালা, পাখপাখালিতে ভরা প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সৌন্দর্যে ঘেরা নয়নাভিরাম এর ক্যাম্পাস। জমিদারি স্থাপত্যের যেন এক অনন্য নিদর্শন। চারদিকে সবুজের সমারোহের মধ্যে যেন গর্বিত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে অনিন্দ্য সুন্দর স্থাপত্য কীর্তি কারমাইকেল কলেজের শ্বেতশুভ্র মূল ভবন।

৬১০ ফুট লম্বা ও ৬০ ফুট প্রশস্ত ইন্দোস্যারানিক আদলে নির্মিত স্থাপত্যশিল্পের এক অনন্য নিদর্শনের মূল ভবনটি প্রথম দর্শনেই পর্যটকদের অন্তরে দোলা দিয়ে যাবে, যা বাংলার সমৃদ্ধিশালী ইতিহাস মোগলীয় নির্মাণশৈলীকে মনে করিয়ে দেয়। গম্বুজের ব্যাপক ব্যবহার মুসলিম স্থাপত্যশিল্পের পরিচায়ক। কার্নিশের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে মারলন অলংকরণের কারুকাজ সন্নিবেশিত হয়েছে। ভবনটি রংপুরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান হওয়ায় বছরজুড়ে দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটকের আগমন ঘটে এই কলেজে।

কলেজে ঢুকে কয়েক পা বাড়ালেই বাম দিকে শিক্ষকদের আবাসিক ভবন। আর একটু এগিয়ে গেলে শিক্ষকদের ডরমিটরি, যা ‘হোয়াইট হাউস’ নামে পরিচিত। পাশেই স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কিউএ মেমোরিয়াল প্রাথমিক বিদ্যালয় (কলেজ প্রাইমারি স্কুল)। এর বিপরীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে আরেক বিস্ময় বৃক্ষ ‘কাইজেলিয়া’। এই কাইজেলিয়া বৃক্ষটি বিলুপ্ত প্রজাতির বৃক্ষ। এর বয়সও শত বছর পেরিয়েছে। এটি মূলত আফ্রিকা মহাদেশ থেকে আনা কোনো এক বৃক্ষপ্রেমীর স্মৃতির সাক্ষী। বিলুপ্ত সেই কাইজেলিয়াকে যুগের পর যুগ ধরে রাখতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কারমাইকেল কাইজেলিয়া শিক্ষা-সংস্কৃতি সংসদ (কাকাশিস)। কাইজেলিয়া বৃক্ষ থেকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে গেলে চৌরাস্তা বা জিরো পয়েন্ট।

এছাড়া রয়েছে একটি সুদৃশ্য ও দৃষ্টিনন্দন শতবর্ষী ভবন, মসজিদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র, ছাত্রী বিশ্রামাগার, বিভিন্ন বিভাগীয় ভবন, ক্যান্টিন। ক্যাম্পাসের ভেতরে তাপসী রাবেয়া হল, বেগম রোকেয়া হল, জাহানারা ইমাম হল, জি.এল ছাত্রাবাস, ওসমানী ছাত্রাবাস, সি.এম ছাত্রাবাস, কে.বি ছাত্রাবাস (হিন্দুদের জন্য) নামে আবাসিক হল রয়েছে। এর মধ্যে সিএম হলটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। নতুন করে তৈরি করা হয়েছে আরেকটি ছাত্রাবাস। এছাড়া কলেজে সাব পোস্ট অফিস, অত্যাধুনিক অডিটোরিয়াম, একটি টালি ভবন (বিএনসিসি ও স্কাউট), ছাত্র বিশ্রামাগার, পুলিশ ফাঁড়ি, প্রশাসন ভবন ও চারটি খেলার মাঠ রয়েছে।

মূল ভবনের পূর্বে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের একটি স্মারক ভাস্কর্য ‘প্রজন্ম’ যা নতুনমাত্রা যোগ করেছে মূল ভবনের নান্দনিকতায়। দক্ষিণে শহীদ মিনার, তিন তলা বিজ্ঞান ভবন (সেকেন্ড বিল্ডিং), তিন তলা কলা ও বাণিজ্য ভবন (থার্ড বিল্ডিং), দ্বিতল রসায়ন ভবন, নানা ফুলে সজ্জিত একটি বাগান। রয়েছে প্রায় ৭০ হাজার বইয়ের এক বিশাল সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, যা কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন রংপুর জেলা গ্রন্থাগার থেকে ২৫০টি বই নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। কলেজের মূল ভবনের ঠিক মাঝে রয়েছে ‘আনন্দমোহন হল’।

উত্তর-পশ্চিম কোণে রয়েছে একটি উন্মুক্ত মঞ্চ, যা ‘বাংলা মঞ্চ’ নামে পরিচিত। কলেজের সব সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র এটি। পড়াশোনার ফাঁকে বাংলা বিভাগের পাশে লিচুতলার সংস্কৃতি মঞ্চে নানামুখী সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে মেতে ওঠেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। রয়েছে স্পন্দন, কানাসাস, বিতর্ক পরিষদ, কাকাশিস, আবৃত্তি সংসদ, বাঁধন, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটসহ একাধিক সাহিত্য, সাংস্কৃতিক, বিতর্ক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। বটতলা চত্বরে নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে রবীন্দ্র-নজরুল মঞ্চ। সব মিলিয়ে সারা বছরই প্রাণোচ্ছল থাকে কারমাইকেল কলেজ ক্যাম্পাস। ঐতিহ্যবাহী এই কলেজ ক্যাম্পাসের দক্ষিণে রংপুর ক্যাডেট কলেজ ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরে রংপুর রেল স্টেশন ও লালবাগ হাট-বাজার এবং চারপাশ ঘিরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছাত্রাবাস।

কারমাইকেল কলেজের কৃতি শিক্ষার্থীরা

কারমাইকেল কলেজ মানেই লাখ লাখ শিক্ষার্থীর ভালোবাসা ও জীবনের সোনালি দিনের স্মৃতিতে ফিরে যাওয়ার নাম। এই খ্যাতি জোড়া প্রতিষ্ঠানে বহু খ্যাতিমান পণ্ডিত, গবেষক ও জ্ঞানতাপসের ছোঁয়া রয়েছে। এই কলেজ জন্ম দিয়েছে অনেক জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিকে। যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে রেখেছেন উজ্জ্বল ভূমিকা।

এখানে পড়েছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল আন্দোলনের নেত্রী জাহানারা ইমাম, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল মুস্তাফিজার রহমান, দেশবরেণ্য কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার আনিসুল হকসহ এ দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতিতে নামকরা জানা-অজানা আরও অনেকে।

এখানে আরও পড়ালেখা করেছেন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ হওয়া ছাত্রনেতা রাউফুন বসুনীয়া, নজরুল গবেষক, কবি ও সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার, সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলু, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রথম স্পিকার শাহ আব্দুল হামিদ, প্রখ্যাত ছড়াকার রফিকুল হক, ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ারের হিন্ডবার্ন সিটির সাবেক মেয়র আলতাফুর রহমান।

প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য এম আব্দুর রহিম, প্রথিতযশা চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন, বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি ও ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও তেভাগা আন্দোলনের নেতা মণিকৃষ্ণ সেন। ব্রিটিশ শাসন, পাকিস্তানি শোষণ আর বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসের সঙ্গে কারমাইকেল কলেজের অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীর নাম ও রক্ত মিশে আছে। এ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন সংগ্রামে প্রাণ দিয়েছেন অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। যারা এই প্রতিষ্ঠানের নামকে গর্বিত ও সম্মানিত করেছেন।