জাহাঙ্গীরনগরের জীববৈচিত্র্য কি হারিয়ে যাবে?
শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যের জন্য সমান পরিচিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। তবে গেল কয়েক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে সবুজায়ন কমেছে। হয়েছে সুঊচ্চ ভবন। পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই। জলাশয় কচুরিপানায় ভরা। শীতকালে জলাশয়গুলোতে পরিযায়ী পাখির জলকেলির দৃশ্যও হারাতে বসেছে। নিস্তব্ধ জলাশয় পাড়ে বরং মাঝেমধ্যে দুয়েকটি কাকের দেখা মেলে।
পরিবেশবিজ্ঞানী ও পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-প্রকৃতি হুমকির মুখে। যথাযথ পরিকল্পনা ছাড়াই গাছ কেটে অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি প্রশাসনের উদাসীনতা এর পেছনে দায়ী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তথ্যমতে, গেল দুই শীতের মতো এবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিযায়ী পাখির আগমন কমেছে। একসময় ক্যাম্পাসে ১১০টির বেশি প্রজাতির প্রজাপতি পাওয়া যেত। সময়ের ব্যবধানে তা কমে ৫৭ প্রজাতিতে নেমে এসেছে।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন বলেছেন, “বংশবিস্তারে সহায়ক গাছপালা ও ঝোপঝাড়ের সংখ্যা কমে গেছে। ফলে প্রজাপতির খাবারসহ পোকামাকড় ও ডিম পাড়ার জায়গাও কমে যাচ্ছে। চূড়ান্ত পরিণতি হিসেবে প্রজাপতির প্রজাতির সংখ্যাও কমে যাচ্ছে।”
সবুজায়ন কমেছে
“পরিকল্পনা ছাড়া” একের পর এক ভবন নির্মাণের ফলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সবুজ এলাকা কমছে। গত ৯ বছরে প্রায় ৮৫ একর জায়গাজুড়ে অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। এসব অবকাঠামো নির্মাণ করতে গিয়ে স্বাভাবিকবাবেই গাছ কাটতে হয়েছে।
২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত স্যাটেলাইট ইমেজ ডিজিটাইজ করে দেখা গেছে, ৬৯৭.৫৬ একর জায়গার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজায়ন ৩% ও জলাশয় ২% কমেছে। একই সময়ে অবকাঠামো বেড়েছে ৫%। ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজায়ন ছিল ৫৬%, যা ২০২৩ সালে হয়েছে ৫৩%। অর্থাৎ, ২০ একর জমির সবুজায়ন কমেছে। এছাড়া ২০১৫ সালে অবকাঠামো ছিল ৬% জায়গায়; বর্তমানে ১১% স্থানে অবকাঠামো হয়েছে। অর্থাৎ, নতুন করে ৩৪.৮৫ একর জমিতে অবকাঠামো নির্মাণ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৮ সালে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১,৪৪৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৪টি স্থাপনার নির্মাণকাজ শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যান স্থপতি মাজহারুল ইসলামের প্রণয়ন করা। তবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সেই মাস্টারপ্ল্যান মানা হয়নি বলে অভিযোগ আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জামালউদ্দিন রুনু বলেন, “ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে গাছ কাটতে হয়েছে। এর ফলে ওই এলাকায় সবুজায়ন নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি সেখানকার প্রাণিকূলও ধ্বংস হয়েছে।”
এদিকে, অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সম্প্রতি সমাজবিজ্ঞান অনুষদের পেছনের বনভূমিতে এক্সটেনশন ভবন, মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনের বনভূমিতে স্পোর্টস কমপ্লেক্স ভবন, লাইব্রেরি সংলগ্ন জঙ্গলে নতুন লাইব্রেরি ও লেকচার থিয়েটার ভবন, স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন টিচার্স কোয়ার্টার এবং টিচার্স ক্লাব সংলগ্ন জঙ্গলে গেস্ট হাউস ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এসব স্থান মিলিয়ে আনুমানিক ৫০ একরের বেশি জায়গার গাছ-গাছালি কাটা হয়েছে।
এসব এলাকার স্যাটেলাইট ইমেজ হালনাগাদ না হওয়ায় “ডিজিটাইজ” করা যায়নি। তবে গেল ৯ বছরে সবমিলিয়ে প্রায় ৮৫ একর এলাকার গাছ-গাছালি কেটে অবকাঠামো তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জলাশয়ের পরিমাণ ৩৮% থেকে কমে হয়েছে ৩৬%।
যত্রতত্র বর্জ্য
বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র “বর্জ্য রিসাইক্লিং প্ল্যান্টটি” অকার্যকর কয়েক বছর ধরে। এ কারণে ক্যাম্পাসের উন্মুক্ত স্থানে এবং জলাশয়ের পানিতে আবর্জনা ছড়িয়ে পড়ছে। এতে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান খেলার মাঠ, মুক্তমঞ্চ, পুরাতন কলা ভবন, আল বেরুনী হলের সম্প্রসারিত ভবন, শেখ রাসেল হলের সামনের রাস্তা, শহীদ সালাম-বরকত হলের সামনে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান ডা. মো. শামছুর রহমান বলেন, “খোলা জায়গায় ময়লা-আর্বজনা ফেলার কারণে নানা জীবাণু বাতাসে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে বায়ুবাহিত রোগগুলো ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে।”
পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক বিউটি আকতার বলেন, “মাটির নির্দিষ্ট একটি মান থাকে। ময়লার কারণে মানটি দিন দিন হারিয়ে নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। মাটির সাথে মিশে এগুলো আমাদের খাদ্য, পানীয়তে মিশে যাচ্ছে।”
পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল হুমকিতে
করোনাভাইরাসের মহামারির সময়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে রেকর্ড সংখ্যক পরিযায়ী পাখি এসেছিল। এরপর গত দুই শীতে পাখি কমতে শুরু করে। সাধারণত সেপ্টেম্বরের শেষদিকে পাখি আসতে শুরু করে। চার-পাঁচটি জলাশয়ে পাখিরা অবস্থান করে। তবে জানুয়ারি মাস চলছে, ভরা শীতেও এখন একটি মাত্র জলাশয়ে পাখি রয়েছে।
এবার যে জলাশয়ে পাখি রয়েছে সেখানে সাধারণের প্রবেশের সুযোগ নেই। নিরিবিলি হওয়ায় পাখিরা সেখানে থাকছে। তবে অন্যান্য জলাশয়েও শীতের শুরুতে পাখি দেখা গিয়েছিল অব্যবস্থাপনা আর উৎপাতে তারা সরে গেছে।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শুমারির তথ্যমতে, ২০২০-২১ সালে ক্যাম্পাসে বিপন্নসহ ১২ প্রজাতির আট হাজারের বেশি পাখি এসেছিল। যা বিগত তিন দশকে সর্বোচ্চ। করোনার কারণে উৎপাত কম থাকায় সেবার অতিথি পাখি বেশি এসেছিল। কিন্তু এর পরের বছরই ক্যাম্পাসে পাখির সংখ্যা কমে যায়। ২০২১-২২ মৌসুমে দুটি প্রজাতির প্রায় চার হাজারের মতো পাখি এসেছিল। গেল মৌসুমেও একই সংখ্যক পাখি দেখা গেছে। এবার পাখির সংখ্যা আরও কমার আশঙ্কা করছেন পাখি বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, জলাশয়ের পাশে দোকানপাটে ভিড়, গাড়ির হর্ন, দর্শনার্থীদের কোলাহলের কারণে পরিযায়ী পাখিরা চলে গেছে। পাশাপাশি সময়মতো জলাশয় পরিষ্কার না করা ও সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের গাফিলতিকেও দায়ী করছেন তারা।
পাখি বিশেষজ্ঞ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান জানান, গত ১৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টারে প্রথম পাখি আসে। এবার গতবারের তুলনায় পাখি কম। এর অন্যতম কারণ কারণ হচ্ছে কোলাহল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯টি জলাশয়ের মধ্যে ১০টি জলাশয় ময়লা-আবর্জনা ও কচুরিপানায় প্রায় পুরোপুরি ভরাট হয়ে গেছে। বাকি জলাশয়গুলোতে পানি থাকলেও জলজ আগাছায় ছেয়ে গেছে। ফলে সেগুলো পাখি বসবাসের উপযোগী নয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় জলাশয় (জয়াপাড়া লেক) এবার বড় বড় কচুরিপানায় ভর্তি। প্রশাসন থেকে জলাশয়টি সময়মতো সংস্কার করা হয়নি। প্রথমদিকে কিছু পাখি সেখানে বসলেও এখন একটিরও দেখা নেই। কচুরিপানার কারণে এই জলাশয়ে পাখির বসার পরিবেশ যেমন নেই, তেমনি তাদের খাদ্যও তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, জলাশয় সংলগ্ন স্থানসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট। জলাশয় সংস্কারে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দর্শনার্থীদের উৎপাত ঠেকাতেও জলাশয় পাড়ে বেড়া দেওয়াসহ জনসচেতনতামূলক ব্যানার টাঙানো হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু বলেন, “ক্যাম্পাসের ভেতরে ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় বড় বড় ভবন হওয়ায় পাখির ‘ফ্লাইং জোন’ হুমকির মুখে পড়েছে। প্রশাসন জলাশয়গুলো সংরক্ষিত করতে পারেনি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের এস্টেট শাখার প্রধান আব্দুর রহমান বলেন, “জয়াপাড়া জলাশয়টির কচুরিপানা পানি ছেড়ে মাটি পর্যন্ত পৌঁছেছে। কচুরিপানা সরানোর পাশাপাশি এর খননও জরুরি হয়ে পড়েছে। সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিকল্পনা নিয়ে বরাদ্দ দরকার।”
ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার অরিত্র সাত্তার বেশ কয়েক বছর ধরে পরিযায়ী পাখির ওপর নজর রাখছেন। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি এর আশপাশের এলাকাতেও পাখি দেখা যেত। ক্যাম্পাসে যেমন পাখির বাস্তুসংস্থান হুমকির মুখে তেমনি বাইরের এলাকায় রয়েছে শিকারীদের উৎপাত। যে কারণে এই এলাকায় পাখি কমছে।”
উত্তরণের উপায় কী
পরিবেশবিজ্ঞানী ও পরিকল্পনাবিদদের মতে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজ শুরুর সময় একটি পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যান করা দরকার ছিল। এর সঙ্গে প্রয়োজন ছিল প্রশাসনের কিছু পদক্ষেপ। তাহলে জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হতো না।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়নের আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মাধ্যমে একটি সমীক্ষা চালানো হয়। সমীক্ষায় পাখিদের অবাধ চলাচলের জন্য ৬ তলার বেশি উঁচু (বহুতল) ভবনগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক থেকে ১০০ থেকে ২০০ মিটার দূরে নির্মাণের সুপারিশ করা হয়। তবে এই প্রকল্পের আওতায় চারটি ১০ থেকে ১১ তলা ভবন এই দূরত্বের মধ্যে নির্মিত হচ্ছে। এতে করে পাখিদের অবাধ চলাচলে বাধার সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামো নির্মাণে গাছ কাটার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র নিয়ে নির্মাণকাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে “এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট” প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। সেখানে প্রায় দেড় হাজার গাছ কাটার কথা বলা হয়। তবে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে চূড়ান্ত ছাড়পত্র নিয়ে নির্মাণকাজ শুরু করতে বলা হলেও তা করা হয়নি। কেন্দ্রীয় রাসায়নিক বর্জ্য পরিশোধনাগার ও সাধারণ বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপনের নির্দেশনারও বাস্তবায়ন হয়নি।
এ ব্যাপারে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, “আমাদের আগে একটা মাস্টারপ্ল্যান দরকার। প্রকল্পের শুরুতেই আমরা মাস্টারপ্ল্যান তৈরির কথা বলেছিলাম। তবে তা হয়নি। মাস্টাপ্ল্যান প্রণয়ন করে কাজ করলে পরিবেশের ক্ষতি এড়ানো যেত।” এখনও প্রশাসনকে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ণের দিকে যেতে হবে মনে করেন এই নগর পরিকল্পনাবিদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামালউদ্দিন রুনু বলেন, “প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের মতামতের তোয়াক্কা করা হয়নি। পরিকল্পনায় প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার বিষয়টির সমন্বয় হয়নি।” পরিবেশের ক্ষতি না করে নির্মাণকাজ করার কথা বলছেন এই অধ্যাপক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান বলেন, “জলাশয়ের পরিবেশ ঠিক থাকলে পাখি বসবে। ক্যাম্পাসে গাড়ির সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। গাড়ির উচ্চ শব্দে তারা ভয় পায়। এসব ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাখির নিরাপদ আবাসস্থলের ব্যবস্থা থাকলে তারা আসবে। পাখির সুরক্ষায় প্রশাসনের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।”
যা বলছে প্রশাসন
পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের স্বার্থে কিছু গাছ কাটতেই হচ্ছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাছ লাগানো হবে। একই সঙ্গে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ভবনের চারপাশে সবুজায়ন করা হবে।”
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের বক্তব্য নিতে মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হয়। তবে তিনি রিসিভ করেননি।