বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত কাজলকে নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ডে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে আহত কাজল উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড নেওয়া হচ্ছে। গত তিন মাস ধরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস (নিন্স) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) নিউরোসায়েন্সে হাসপাতালে কাজলকে দেখতে গিয়ে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, জুলাইয়ের গণবিপ্লবে যাত্রাবাড়ীতে আবু সাঈদের মতো দু’হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দিয়েছিলেন কাজল। পুলিশের গুলিতে মাথায় আহত হন তিনি। এর পর ভর্তি হন নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে। গত তিন মাস ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।
চিকিৎসকরা জানান, ধীরে ধীরে তার উন্নতি হতে থাকে। কিন্তু গত দুদিন আগে হঠাৎ ইনফেকশন হয়। বেশ কয়েকবার তার ডায়রিয়া হয়। এতে রক্তচাপ কমে তিনি শকে চলে যান। পরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে বোর্ড গঠন করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হতে থাকে। আজকে সকাল থেকে অবস্থা খারাপ হতে থাকলে আজও বোর্ডের বৈঠক বসে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, কাজলের সর্বশেষ অবস্থা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমকে জানানো হলে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নেন। তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে নিউরোসায়েন্সে পাঠান তিনি। পরে উপদেষ্টা নাহিদ এসে চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে, তাকে দ্রুত থাইল্যান্ডের বেজথানি হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
তবে আজ শনিবার হওয়ায় থাইল্যান্ডের ভিসা পাওয়া যায়নি। তথ্য উপদেষ্টা তার ভিসা ও খরচের ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছেন এবং দুই মন্ত্রণালয় থেকেই সবুজ সংকেত পান তিনি। এরপরে কাজলকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে থাইল্যান্ড নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে গণবিপ্লবে আহত মুসাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সে অভিজ্ঞতা থেকেই স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সাথে সাথে সিএমএইচে যোগাযোগ করেন। পরে তিনি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউরোসায়েন্সের চিকিৎসকরা জানান, ভিসা না থাকায় কাজলকে আজ থাইল্যান্ড নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে থাই ভিসা সেন্টারে যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামীকাল ভিসা পাওয়া যাবে। ভিসা পাওয়ার পরই থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে রওনা দেবে কাজল।