আন্দোলনে আহত ৭ জনকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেবে তুরস্ক: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত আরও ২০-২৫ জন বিদেশে যাওয়ার পাইপলাইনে আছে। এর মধ্যে ৭ জনকে তুরস্কে পাঠানো হবে। তুরস্ক সরকার তাদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনে আহত কাজল মিঞাকে বিদায় জানান। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের ভেজথানি হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
কাজলকে বিদায় জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম। তিনি বলেন, কাজলকে থাইল্যান্ড পাঠাতে শুধু এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের জন্যই ৬৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা চিকিৎসা বাবদ ১০ লাখ টাকা দিয়েছি। বাকি আরও লাগলে আমরা দেখে-বুঝে পাঠাবো।
এছাড়া আরও ২০-২৫ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, তার মধ্যে ৭ জনকে পাঠানো হবে তুরস্কে। এদের মধ্যে তিন জন চোখে আঘাতপ্রাপ্ত এবং চার জন অর্থপেডিকসের রোগী। তুরস্ক সরকারের অঙ্গে আমাদের আলাপ চলছে। এই সাত জনের চিকিৎসার খরচ বহন করবে তুরস্ক, বাকি থাকা-খাওয়া নিজেদের বহন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কাজলকে আমরা আজ পাঠালাম, তার স্ত্রীও সঙ্গে গেছেন। আরও একজন অপেক্ষা করছে যাওয়ার জন্য। তিনি নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কাল অথবা পরশু আমরা তাকে পাঠাতে পারবো বলে আশা করছি। এখন পর্যন্ত আমরা পাঁচ জনকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে পেরেছি।
চিকিৎসাগুলো দেশে থাকলে কিন্তু তাদের বাইরে পাঠানোর প্রয়োজন হতো না বলে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, বিদেশ থেকে যে চিকিৎসকরা এসেছেন। তারা কিন্তু রোগীদের দেখে বলেছেন যে, এখানে চিকিৎসা হয়েছে তারা করলে তাই করতেন। যেখানে ঘাটতি আছে সেগুলো তারা নিজেরাই করবেন, এখানে আমরা হাত দেইনি। রোবোটিক ফিজিওথেরাপি দেওয়ার জন্য আমি বলেছি, কী যন্ত্র লাগবে আমাদের জানাতে। আমি যদি কারও কাছে বিনামূল্যে পাই, নিয়ে আসবো। যদি না হয় কিনে আনবো। এটা তো শুধু এখন না, ভবিষ্যতেও এক্সিডেন্টের রোগীদের জন্য লাগবে।