পঞ্চগড়ে বইছে হিমেল বাতাস, তাপমাত্রা কমে ৯ ডিগ্রিতে
হিমালয় সংলগ্ন দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বইছে হিমেল বাতাস। জেলায় এক দিনে তাপমাত্রা ৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে দশের নিচে নেমেছে। এতে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় তেতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর তিন ঘণ্টা আগে সকাল ৬ টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় যা ছিল ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাস আর কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে এ জেলায়। সোমবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এসময়ে বাতাসের আদ্রতা ৮৩ শতাংশ ছিল। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৭-৮কিলোমিটার।
সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
পঞ্চগড়ে গত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে। উত্তরের হিমেল বাতাস আর হালকা কুয়াশায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। সূর্যের দেখা মিললেও রশ্মির প্রখরতা নেই। কনকনে শীত অনুভূত হওয়ায় কাজে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, শীতের কারণে রাতে কাঁথা-কম্বল ছাড়া ঘুমানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। উপায়ন্তর না পেয়ে সন্ধ্যা-ভোরে খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা কমানোর চেষ্টা করছেন তারা।
তারা আরও বলেন, দিন-রাত দুই রকম তাপমাত্রা অনুভব করছেন। সন্ধ্যা থেকে পরের দিন সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তীব্র কনকনে শীতে হাড় কাঁপছে তাদের। রাতে তাপমাত্রা মাইনাস জিরো ডিগ্রিতে নেমে আসছে এমন অনুভব করছেন তারা।
আবহাওয়ার অফিসের ভাষ্য অনুযায়ী, ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হলে সেটাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সেই হিসেবে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে পঞ্চগড়
এদিকে ঠান্ডায় শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে জেলার হাসপাতালগুলোতে। যাদের বেশিরভাগ শিশু ও বয়স্ক। সর্দি, জ্বরসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অসংখ্য রোগী আসছেন হাসপাতালে। ফলে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছে।