কতদিনের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ, জানালেন পরিবেশ উপদেষ্টা

কতদিনের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ, জানালেন পরিবেশ উপদেষ্টা

রাষ্ট্র সংস্কারে গঠিত চার কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী আগামী এক মাসের মধ্যে সংস্কারের একটা রোডম্যাপ প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান। এছাড়া সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাব নিয়ে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু হবে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সংস্কার কমিশনগুলোর রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এই রিপোর্ট নিয়ে সংস্কার কমিশন বসবে। এখান থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেটি চূড়ান্ত করা হবে।’

পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, জমা হওয়া প্রতিবেদনগুলোর সারমর্ম আজই জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এর মধ্যে সরকার কতটা সংস্কার করবে, আগামী এক মাসের মধ্যে একটা রোডম্যাপ দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কারের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তার কনটেক্সটা যেন আমরা ভুলে না যাই। কনটেক্সটাটা হচ্ছে একটা গণ-অভ্যুত্থান। এখন যদি আমাদের একটা আইনি কাঠামো ধরে বলা হয়, সংবিধানের এই অনুচ্ছেদে এটা আছে, আপনাকে এভাবে করতে হবে, তাহলে গণ-অভ্যুত্থানের যে চেতনা, যে আকাঙ্ক্ষা, সেটা এনডোর্স করা আমাদের জন্য খুব দুরুহ হয়ে পড়ে। গণ-অভ্যুত্থানকেই আমরা হৃদয়ে ধারণ করেছি।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, সংস্কারের জন্য সব রাজনৈতিক দল তাদের মতামত দিয়েছে। আজ কমিশনগুলো যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে সব রাজনৈতিক দলের লিখিত বক্তব্যের প্রতিফলন ঘটেছে। এখানেই শেষ নয়, এটা নিয়ে আলোচনার আরও কয়েকটি ধাপ রয়েছে।  

রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের ব্যাপারে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘কাউকে টার্গেট করে বিচার হচ্ছে না। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে বিচার হচ্ছে। আমরা যেহেতু কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করিনি, কাজেই রাজনীতিতে কোন দল কোন অবস্থানে কীভাবে থাকবে, সেই সিদ্ধান্ত সেই রাজনৈতিক দল নেবে। এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ওপর নির্ভর করছে না।’

সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হবে।’

প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, প্রত্যাশিত সংস্কার শেষ করতে আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘জুলাইয়ে সংগঠিত বিচারিক প্রক্রিয়ার দিকে তাকিয়ে আছি আমরা। রায়ে অপরাধের সঙ্গে কোনো দলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে সেটার আলোকে বহু সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ পাব।’ তবে কোনো দলকে আগে থেকে সরকার নিষিদ্ধ করবে না বলে জানান তিনি।