রবিবার সকালেও ঢাকার বাতাস 'অস্বাস্থ্যকর'
দূষিত বাতাস নিয়ে বিশ্বের অস্বাস্থ্যকর শহরগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকা।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় একিউআই স্কোর ১৯০ নিয়ে দূষিত শহরটি নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বায়ুমান সূচক (একিউআই) অনুযায়ী, ধারাবাহিকভাবে শহরটির বাতাস বাসিন্দাদের জন্য 'অস্বাস্থ্যকর' শ্রেণিবদ্ধ হয়ে আসছে। আজও আস্বাস্থ্যকর হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে শহরটির বাতাস।
সেনেগালের ডাকার, উগান্ডার কাম্পালা ও চীনের উহান শহর যথাক্রমে ১৯৪, ১৮২ ও ১৮১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণে কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।