বিকল্প জ্বালানি ব্যবস্থায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার
বাংলাদেশ সরকার বায়ুদূষণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। সেই সঙ্গে বর্তমানে সরকার বিকল্প জ্বালানি ব্যবস্থায় যাওয়ার পরিকল্পনাও করছে। এ বিষয়ে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দূষণ মোকাবিলা কোনো একটি মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়। এটি সামষ্টিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে।
রাজধানীর একটি হোটেলে ইউএসএইড ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শক্তির আয়োজনে বায়ুদূষণ রোধে করণীয় শীর্ষক এক সেমিনারে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বায়ুদূষণ মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি এ সমস্যার সমাধানের যাত্রায় পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডিও। সংস্থাটির এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাডমিনিস্টেটর অঞ্জলি কৌর বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, বায়ুদূষণ এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সংকট। যার কারণে মানুষের শারীরিক ক্ষতি তো হচ্ছেই, একইসঙ্গে অর্থনৈতিকভাবেও মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ সময় ভারত ও নেপালসহ সমগ্র অঞ্চলে বায়ুর গুণমান উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিনিয়োগ করছে বলেও জানান তিনি।
সেমিনারে অন্য আলোচকেরা বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর অক্টোবরে বায়ুর গুণমান সূচক খারাপ হতে শুরু করে। জানুয়ারিতে যা সবচেয়ে খারাপ স্তরে পৌঁছায় এবং এপ্রিল পর্যন্ত এমনই থাকে। এই জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বহুমুখী সমাধান প্রয়োজন। একইসঙ্গে কোন পন্থা অবলম্বন করে পরিস্থিতির পরিবর্তন করা সম্ভব, তারও অনুশীলন চলছে।
এ বিষয়ে অঞ্জলি কৌর বলেন, বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে বাংলাদেশের জিডিপির প্রায় ৯ শতাংশই ব্যয় হয়েছে গৃহস্থালি এবং বাইরের বায়ুদূষণের কারণে। বায়ুদূষণ শিশুদের বেড়ে উঠা এবং শিক্ষার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি বার্ষিক মৃত্যুর প্রায় ২০ শতাংশের জন্য বায়ুদূষণ দায়ী।