নব্বইয়ের ছাত্রনেতা শফী আহমেদ মারা গেছেন

শফী আহমেদ। ফাইল ছবি

নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফী আহমেদ মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।

সোমবার (৩ জুন) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ঢাকার উত্তরার একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শফী আহমেদের স্ত্রী ও বিমান কর্মকর্তা তাহেরা খন্দকার। তিনি জানান, আজ বিকেলে ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন শফী আহমেদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র শফী আহমেদ ছিলেন সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের অন্যতম শীর্ষ নেতা। যাদের সাহসী নেতৃত্বে নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ পেয়েছিল, তাদের মধ্যে শফী আহমেদ উজ্জ্বল এক নাম। 

শফী আহমেদ জাসদ ছাত্রলীগের ১৯৮৯-৯১ সালের কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়া দলটির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটির সদস্যও ছিলেন।

২০০৭ সালের বাতিল হওয়া নির্বাচনে নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন শফী আহমেদ। কিন্তু সেবার আর নির্বাচন হয়নি। এরপর গত চারটি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন শফী আহমেদ। কিন্তু তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।

স্ত্রী, দুই ছেলেসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন শফী আহমেদ। তার ছেলেরা কানাডা ও লন্ডনে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছেন। আর স্ত্রী বাংলাদেশ বিমানের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত।

শফী আহমেদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার মদন উপজেলার মাখনা গ্রামে। নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়ায় তার বাসা।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আরও শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

জাসদের দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন জানান, শফী আহমেদের মরদেহ নেত্রকোনায় তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা হবে।