ঢাকা মেডিকেল থেকে নবজাতক চুরি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার পৌনে ১টার দিকে যমজ নবজাতকের একজনকে চুরি করে নিয়ে গেছে বোরকা পরিহিত এক নারী।

আজ বুধবার বিকেল পর্যন্ত শিশুটি উদ্ধার হয়নি। তবে এ ঘটনায় বুধবার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কমিটি গঠনের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। 

তিনি বলেন, ‘বুধবার বিকেল পর্যন্ত শিশুটি উদ্ধারের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। নবজাতক মিসিংয়ের ঘটনায় আমাদের হাসপাতালের কারও কোনো গাফিলতি আছে কি-না, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আমাদের তরফ থেকে গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. ফিরোজা ওয়াজেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’ 

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এক নারী ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে সিজারের মাধ্যমে দুটি যমজ সন্তান জন্ম দেয়। জন্মের পরপরই ২১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রবেশ পথের বারান্দায় দাদির কোলে ছিল। এ সময় সবুজ রঙের একটি বোরকা পরা এক নারী নবজাতকের দাদির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। পরে ভূমিষ্ঠ হওয়া যমজ নবজাতকের একটি কোলে নিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। 

বাচ্চু মিয়া আরও জানান, বিষয়টি হাসপাতাল পরিচালককে জানানো হয়েছে। সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে চোরকে শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

নবজাতকের বাবা শরিফুল ইসলাম জানান, তাদের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলায়। বর্তমানে ঢাকা জেলার ধামরাই কালামপুর এলাকার থাকেন। তার স্ত্রী সুখী বেগমকে (২৪) গত সোমবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সিজারের মাধ্যমে সুখী দুটি যমজ মেয়ে সন্তান জন্ম দেন। তাদের আরও একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। নবজাতকের দাদি ছিলেন সঙ্গে। দুপুরে এক নারী নবজাতকের দাদির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে এবং এক নবজাতককে চুরি করে নিয়ে যায়। 

নবজাতকের দাদি হাসিনা বেগম বলেন, ‘সবুজ রঙের বোরকা পরা এক মহিলা ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রবেশ পথের বারান্দায় এসে আমার সঙ্গে গল্প জুড়ে দেয়। একপর্যায়ে আমার কোল থেকে একটি সন্তান তার কোলে নেয়। কিছুক্ষণ পর তাকে আর খুঁজে পাইনি।’
 
এর আগে গত বছরের ৩১ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল থেকে তিন দিন বয়সী এক নবজাতক চুরি হয়েছিল। তবে তিন দিন পর নবজাতকটিকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ।