এমপি আনারের মৃত্যু নিশ্চিতের পর সংসদে শোক প্রস্তাব: স্পিকার

জাতীয় সংসদ

জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। এটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশন ও চলতি বছরের তৃতীয় অধিবেশন। রীতি অনুযায়ী অধিবেশনের শুরুতেই সংসদ সদস্য ও বিভিন্ন বিশিষ্টজনের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। আর চলতি সংসদের কোনো সংসদ সদস্য মারা গেলে তার জন্য শোক প্রস্তাব গ্রহণের পর সংসদ সেদিনের জন্য মুলতবি করা হয়। তবে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের জন্য কোনো শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়নি।

আজ বুধবার বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদ ভবনের অধিবেশন কক্ষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশন শুরুর আগে সংসদের কার্য-উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অধিবেশনের মেয়াদ ও কার্যসূচি চূড়ান্ত করা হয়। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বৈঠকে কলকাতায় ‘খুন’ হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের বিষয়ে আলোচনা হয়। কমিটির সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বৈঠকে প্রসঙ্গটি তোলেন। পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার মৃত্যুর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়ার পর ওই আসনটি শূন্য ঘোষণা হবে। এরপর সংসদে শোক প্রস্তাব নেওয়া হবে।

আনারের বিষয়ে সংসদের দিকে তাকিয়ে নির্বাচন কমিশন

গত সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেছেন, ‘কলকাতায় খুন হয়েছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। এখন পর্যন্ত মরদেহ না পাওয়ায় তার আসনটি শূন্য ঘোষণা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে জটিলতা। আনারের আসনটি কবে নাগাদ শূন্য হবে তা নির্ভর করছে সংসদের ওপর। সংসদ আসনটি শূন্য ঘোষণা করলে ইসি নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।’

এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘কোনো সংসদ সদস্যের স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে তার সংসদীয় আসনটি কীভাবে শূন্য ঘোষণা হবে সংবিধানে এটি স্পষ্ট উল্লেখ নেই। আনার (আনোয়ারুল আজীম আনার) সাহেব মারা গেছেন কি-না, অফিশিয়ালি আমরা জানি না। এ ক্ষেত্রে সংসদ যেভাবে বলবে সেভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘সংবিধানের ৬৬ বা ৬৭ অনুচ্ছেদে এ বিষয়ে আমরা কোনো কিছু উল্লেখ দেখি না। মৃত্যুজনিত কারণে সংসদ সদস্য পদ শূন্য হবে এটি আমি এ পর্যন্ত সংবিধানে দেখিনি। সাধারণত এটি ধরে নেওয়া হয়, যদি সংসদ সদস্য মৃত্যুুবরণ করেন তার পক্ষে তো আর সংসদে আসা সম্ভব নয়। এটি ধরে নিয়েই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয় এবং আমাদের যখন জানানো হয়, আমরা সংবিধানের ১২৩ অনুযায়ী নির্বাচন করি।’

ঝিনাইদহ-৪ আসনের ক্ষেত্রে কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিক বা অপমৃত্যু যাই হোক না কেন, এটা (আসন শূন্য ঘোষণা) হলো সংসদের দায়িত্ব। স্পিকার যখন মৃত্যু সনদ পাবেন তখন সংসদ আসনটি শূন্য ঘোষণা করবে।’