মানুষের কষ্ট হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

মূল্যস্ফীতিতে সীমিত আয়ের সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। বিশেষ করে খাদ্যমূল্য। সেখানে উৎপাদন ও সরবরাহ বৃদ্ধি করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সুলভে ক্রয়ের জন্য পারিবারিক কার্ড করে দিয়েছে এবং হতদরিদ্রদের বিনা পয়সায় খাবার দিচ্ছে।

শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ছয়দফা দিবস উপলক্ষ্যে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেড় শতাধিক সামাজিক নিরাপত্ত বলয়ের কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। বিনা পয়সায় বই, বৃত্তি-উপবৃত্তি প্রদান এবং কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির কারণে উন্নত দেশগুলোই হিমশিম খাচ্ছে। এখন মূল্যস্ফীতি যদিও বেশি, তথাপি চাল উৎপাদনই আমরা চারগুণ বাড়িয়েছি। মাছ, মাংস, ডিম প্রত্যেকটি জিনিসেরই আমরা উৎপাদন বাড়িয়েছি। উৎপাদন যেমন বেড়েছে মানুষের আর্থিক স্বচ্ছলতাও বেড়েছে। পাশাপাশি মানুষের খাদ্য গ্রহণের পরিমাণও বেড়েছে।

বাজেটের বিষয়টি উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি আমলে মাত্র ৬২,০০০ কোটি টাকার বাজেট ছিল। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার বোধহয় ৬৮,০০০ কোটি টাকার বাজেট দিয়ে গিয়েছিল। সেখানে আমরা ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, এই বাজেটে এবার মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোকে নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, দেশীয় শিল্প, সামাজিক নিরাপত্তা- এগুলোকে সব থেকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যা মানুষের জীবনযাত্রা উন্নত করবে।

তিনি বলেন, বোরো ধান ওঠার পর সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়েছে, এখন কৃষক আবার যেন জমিগুলো চাষ করতে পারে সে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ঝড়-বৃষ্টি, বন্যা আবারও আসতে পারে, সেগুলো মোকাবিলা করে মানুষের চাহিদা পূরণে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য এবং সকলকে বৃক্ষরোপণে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতি মাথায় রেখেই কিন্তু আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে চলতে হবে।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শাজাহান খান, কামরুল ইসলাম এবং ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।