সড়ক দুর্ঘটনায় জাবি শিক্ষার্থীসহ তিনজনের মৃত্যু

রংপুরের গংগাচড়া উপজেলায় পাগলাপীর-জলঢাকা সড়কের দক্ষিণ খলেয়া এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়

রংপুরের গংগাচড়া উপজেলায় বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে যে তিনজন নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থী রয়েছেন।

ওই শিক্ষার্থীর নাম মোছা. আজমুদা আক্তার রুমি। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি নীলফামারি জেলার কিশোরগঞ্জ ‍উপজেলায়। ঈদ-উল-আজহার ছুটিতে ক্যাম্পাস থেকে বাসায় যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন রুমি।

শনিবার (৮ জুন) দুপুরে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলায় পাগলাপীর-জলঢাকা সড়কের দক্ষিণ খলেয়া এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হন ছয়জন। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, যাত্রীবাহী বাস সিএনজি অটোরিকশায় চাপা দেয়। অটোরিকশাটি আবার একটি ভ্যানে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালক ভেলসা মিয়া নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।  আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় দুপুরে আরও দুজন মারা যান।

তাদের মধ্যে জাবি শিক্ষার্থীসহ আরেকজন হলেন দীবা রানী। তার বাড়ি নীলফামারির জলঢাকা উপজেলায়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোস্তাকিন বলেন, “চিকিৎসাধীন আরও তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।”

এ ব্যাপারে গংগাচড়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মমতাজুল ইসলাম জানান, বাসটি বেপরোয়া গতিতে আসছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। অটোরিকশাচালক ভেলসা মিয়া ঘটনাস্থলে নিহত হন। তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং গুরতর আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজন মারা গেছেন।

গংগাচড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান বলেন, “এ ঘটনায় বাসটি আটক করা গেলেও ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।”

এদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রুমির প্রতিবেশী ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সুরুজ আলী জানান, ঈদের ছুটিতে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় গত বুধবার দুপুরে বাসে করে রংপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন রুমি। ক্যাম্পাস থেকে সরাসরি নীলফামারীর বাস না পাওয়ায় রংপুরে নানীর বাসায় যান তিনি। পরে সেখান থেকে শনিবার সকালে অটোরিকশায় নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে যেতে বের হন।