৩৮ রাউন্ড গুলি ছোড়েন কনস্টেবল কাউসার, হয়েছিল কথা কাটাকাটি

রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোন এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনের চেকপোস্টে দায়িত্বরত কনস্টেবল কাউসারের কাছে ব্রাজিল থেকে আমদানিকৃত এসএমটি সাবমেশিনগান ছিল। শনিবার (৮ জুন) রাতে এই বন্দুক থেকে উন্মাদের মতো ৩৮ রাউন্ড গুলি ছোড়েন কাউসার। তার ছোড়া গুলিতে নিহত হন একই সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম।

শনিবার (৮ জুন) রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় দুই পুলিশ সদস্যই ফিলিস্তিন দূতাবাসের বাইরে অবস্থিত পুলিশ চেক পোস্টে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে কনস্টেবল মনিরুল ও কাউসারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নিজের সঙ্গে থাকা অস্ত্র দিয়ে মনিরুলকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন কাউসার।

ডিপ্লোমেটিক জোনে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের হাতে ব্রাজিল থেকে আমদানিকৃত এসএমটি সাবমেশিনগান দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। এ অস্ত্র দিয়ে মিনিটেই ৬০০ রাউন্ড গুলি করা যায়। কাউসার এই অস্ত্র দিয়ে উন্মাদের মতো ৩৮ রাউন্ড গুলি ছুড়েছেন।

এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন আহত হয়েছেন। তিন রাউন্ড গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয়। গুলি চালানোর সময় সড়কে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন মনির নামে এক পথচারী। তিনিও গুলিবিদ্ধ হন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত সাজ্জাদ পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি এই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় দেখেন এক পুলিশ সদস্য উপুড় হয়ে পড়ে আছেন। কনস্টেবল কাউসারের কাছে এর কারণ জানতে এগিয়ে গেলে কাউসার তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। তখন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন সাজ্জাদ।