চাঁদপুর শহরে গোলাগুলি, নিহত ১, পুলিশসহ আহত ২০

চাঁদপুর শহরে গোলাগুলি, নিহত ১, পুলিশসহ আহত ২০

চাঁদপুর শহরের পুরানবাজারে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ভাঙচুর ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময়  আল আমিন (৩২) নামের এক যুবক নিহত এবং পুলিশসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। 

বুধবার রাতে পুরাণবাজার মধুসুদুন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন পলাশের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় ৩০টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। নিহত আল-আমিন পুরানবাজার এলাকার আ. মজিদ খান ডেঙ্গুর ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক।

আহতরা হলেন- পুলিশের এএসআই মনিরুল, কন্সটেবল আল-আমিন ও স্বপন। এছাড়া স্থানীয় রাশেদ, কামাল, শাকিল, রহমান, জসিম, আল-আমিনসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়। আহতদের অনেকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঘটনার পরপর চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুদিপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম অ্যান্ড অপস) রাশেদুল হক চৌধুরী, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী, চাঁদপুর সদর মডেল থানার (ওসি) শেখ মো. মুহসীন আলম হাসপাতালে ছুটে আসেন এবং নিহতের পরিবারকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।

জানা যায়, চাঁদপুর পুরানবাজার ১ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি অন্তরের সঙ্গে কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী মাঝির ছেলে সজিব মাঝির সঙ্গে এর আগে কয়েক দফা মারামারি হয়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রাত সাড়ে ৮ টা থেকে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। 

নিহতের পিতা আ. মজিদ খান ডেঙ্গু জানায়, ‘আমার ছেলেকে যে গুলি করে মেরেছে আমি তার ফাঁসি চাই।’

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ওমর ফারুক সবুজ জানায়, মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আনা হয়। তার মাথার ডানপাশে গুলির আঘাত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সে গুলির আঘাতে মৃত্যু বরণ করেছে।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুদিপ্ত রায় বলেন, পূর্ব থেকে ঝামেলা ছিল। সেই ঝামেলাই সূত্রপাত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। কারা কী কারণে ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা অভিযানে আছি। শীঘ্রই দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।