লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখর হবে আরাফাতের ময়দান

আজ পবিত্র হজ,

আজ পবিত্র হজ। প্রতি বছর ৯ জিলহজ সৌদি আরবের মক্কা নগরীর আরাফাতের ময়দানে সমবেত হন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ মানুষ। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পবিত্র আরাফাতের ময়দান।

বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের সমবেত মুসল্লি হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্য ভোরে ফজরের নামাজ পড়ে পবিত্র আরাফাত ময়দানের দিকে রওনা হয়েছেন। সেখানে সারাদিন খুতবা শুনে আসরের নামাজের আগে মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করবেন হাজিরা। 

শুক্রবার মিনার উদ্দেশে যাত্রার মধ্য দিয়ে চলতি বছরের পবিত্র হজ মৌসুমের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এ বছর সারাবিশ্ব থেকে হজ পালন করতে গেছেন প্রায় ২০ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি ৮৫ হাজার ২৫৭ জন।

হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুক্রবার থেকে শুরু হলেও অনেক হজযাত্রীকে বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁবুর শহর মিনায় নেয়া শুরু করছেন মুয়াল্লিমরা। এশার নামাজের পর মক্কার নিজ নিজ আবাসন থেকে ইহরামের কাপড় পরে মিনার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন হাজিরা। মিনায় গিয়ে হাজিরা নিজ নিজ তাঁবুতে ফজর থেকে শুরু করে এশা পর্যন্ত অর্থাৎ ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন।

৯ জিলহজ সকাল থেকে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হতে শুরু করবেন হাজিরা। এদিন দুপুর থেকে সুর্যাস্তের আগ পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করা ফরজ। মূলত এদিনকেই হজের দিন বলা হয়। দিনটি ইয়াওমুল আরাফা হিসেবেও পরিচিত। এরপর হাজিরা আরাফার ময়দান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাত যাপন এবং পাথর সংগ্রহ করবেন।

১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে যাবেন হাজিরা। সেখানে তারা বড় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ ও সায়ী করবেন। এরপর হাজিরা আবার মিনায় ফিরে ১১ এবং ১২ জিলহজ সেখানে অবস্থান করবেন। এ সময় প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন তারা।

এবার আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা প্রদান করবেন মসজিদুল হারামের জনপ্রিয় ইমাম ও খতিব শায়খ ড. মাহের বিন হামাদ বিন মুয়াক্বল আল মুয়াইকিলি। একইসঙ্গে তিনি মসজিদে নামিরাতে নামাজও পড়াবেন।