রাজধানীর ভাটারা থানার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ভবনের কার্নিশ আটকে পড়ে এক কিশোরী। বিষয়টি নজরে আসে প্রত্যক্ষদর্শীর। তাৎক্ষণিক তিনি ফোন করেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে উদ্ধার করে কিশোরীকে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর পরিদর্শক (মিডিয়া) আনোয়ার সাত্তার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, চৌদ্দ বছর বয়সী ওই কিশোরীর বাবা মারা গেছেন। মায়ের বিয়ে হয়ে গেছে অন্যত্র। ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার “বি” ব্লকের একটি ভবনে সে দাদির সঙ্গে থাকত। দীর্ঘদিন ধরে কিশোরী মায়ের কাছে যেতে চাইছিল কিন্তু দাদি যেতে দেয়নি। এ নিয়ে দাদির ওপর অভিমান করে বুধবার সকালে আটতলা ভবনের সাততলা থেকে কার্নিশ বেয়ে নেমে মায়ের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে আটকা পড়ে।

এ অবস্থায় একজন প্রত্যক্ষদর্শী ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে ওই কিশোরীর কার্নিশে আটকে পড়ার তথ্য জানায়। কলটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯ কলটেকার এএসআই লোকমান হোসেন। এএসআই লোকমান তাৎক্ষণিক বিষয়টি বারিধারা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এবং ভাটারা জানায়।

সংবাদ পেয়ে বারিধারা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উদ্ধারকারী দল ও ভাটারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা আটতলা ভবনের সাততলার ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে জানালার গ্রিল কেটে কার্নিশ থেকে কিশোরীকে নিরাপদে উদ্ধার করে।