ঢাকার বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি

ঢাকার বাতাসের মান বৃহস্পতিবারও ‘মধ্যম’ পর্যায়ে রয়েছে। এদিন সকাল পৌনে ১০টায় বাতাসের গুনমান সূচকে (একিউআই) ৭৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে খারাপ বাতাসের মানের তালিকায় ২৫তম অবস্থানে নেমেছে ঢাকা। বুধবার ৮২ একিউআই স্কোর নিয়ে ঢাকার অবস্থান ছিল ১৪তম।

ঈদের ছুটিতে শহরের কম জনসংখ্যা এবং রাস্তায় কম যানজটের কারণে গত কয়েকদিন ধরেই বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি দেখা যাচ্ছে। তবে গত কয়েকদিনের মধ্যে আজই সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।

এদিন ১৭৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা। ১৫৪ একিউআই স্কোর নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা দ্বিতীয় এবং ১৩৪ একিউআই স্কোর নিয়ে চীনের বেইজিং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে  থাকলে ‘ভালো’ এবং ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মাঝারি’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।