রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় রবিবার ঢাকাসহ সারাদেশে দোয়া ও মিলাদের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

শনিবার সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন ম্যাডাম এভারকেয়ার হাসপাতালে ডাক্তারদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন আছেন। আমরা দলের নেতাকর্মী সবাই আমরা বিষণ্ণ। আমরা মহান আল্লাহর কাছে তার সুস্থতার জন্য সবসময় দোয়া চাইব।

রিজভী বলেন, আগামীকাল রবিবার ঢাকাসহ সারাদেশে মহানগর ও জেলা সদরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় নয়াপল্টনে বেলা সাড়ে ১১টায় এই দোয়ার অনুষ্ঠান হবে। এতে দলের মহাসচিবসহ জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করবে।

হঠাৎ অসুস্থতার কারণে শুক্রবার গভীর রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি সরকার অমানবিক ব্যবহার ও আচরণ করছে। তার মানবাধিকার ও মানবতা যেভাবে তারা হরণ করছে এটা যদি সত্যিকার গণতান্ত্রিক সরকার থাকতো তাহলে করতে পারতো না। দেশের সত্যিকার অর্থে আইনের শাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকলে এটা হতো না।

তিনি বলেন, ‘উনাকে (খালেদা জিয়া) অন্যায়ভাবে মামলা দেওয়া হযেছে। যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে এর সাথে ন্যূনতম কোনো সম্পর্ক তার নেই। সেই মামলায় দেশনেত্রীকে সাজা দিয়ে ... এই সাজা একেবারেই একজন ব্যক্তির ইচ্ছাপ্রসূত সাজা সেটা স্পষ্ট....। নিম্ন আদালত পাঁচ বছর দিলো, হাইকোর্ট তাকে ১০ বছর করে দিলো; তাতেই মনে হয়েছে যে, সব কিছু উনার (শেখ হাসিনার) নিয়ন্ত্রণে এবং এটা (সাজা) যে উনার ইচ্ছা পূরণে হয়েছে তা আজকে সুস্পষ্ট।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স উপস্থিত ছিলেন।