সাংঘর্ষিক রাজনীতির কারণে দেশ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে আসেনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী 

ফাইল ছবি

সাংঘার্ষিক রাজনীতির কারণে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এখনো পৌঁছায়নি। প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরে পদার্পণ করে আওয়ামী লীগ এখনো দেশবিরোধী শক্তির মোকাবিলা করছে। এ অবস্থায় এসে আওয়ামী লীগ মোটাদাগে দুটি বিষয়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করছে। তার একটি হলো মৌলবাদী শক্তির উত্থান, অপরটি দেশের সাংঘর্ষিক রাজনীতি। 

আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রবিবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করার পর থেকে দেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। মেজর জিয়াউর রহমানসহ সব সেক্টর কমান্ডাররা ৪০০ টাকার বেতনের কর্মচারী ছিলেন। দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর অর্পিত। তার হাত ধরেই দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রথম বিদ্যাপীঠ। প্রতিষ্ঠার পর থেকে গণমুখী নানা কর্মসূচী নিয়ে এদেশের সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছে। দীর্ঘ এ পথ পরিক্রমায় দলটির অর্জন অসামান্য। তবে কোনো ব্যর্থতা নেই। যেটি রয়েছে সেটি হলো অপূর্ণতা। এক্ষেত্রে দলটির মনে করে দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ এখনো কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি।
 
হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানে সরকার গঠন করে। পাকিস্তানের কোনো সংবিধান ছিল না। আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান রচিত হয়। ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা হলেও ১৯৫৬ সালেই রাষ্ট্রভাষা হিসেবে কার্যকর হয়, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদনও সে সময়েই চালু হয়।