সংসদ ভবনে ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ উদ্বোধন

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদ ভবনে নির্মিত ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’-এর শুভ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। 

উদ্বোধনের পর সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের প্রথম তলায় স্থাপিত এই কক্ষটি ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন এবং এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

এসময় স্পীকার ‘মুজিব ও স্বাধীনতা-এ প্রদর্শিত বিভিন্ন স্থিরচিত্র ও ঘটনাপ্রবাহ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

তিনি জাতীয় সংসদে ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ স্থাপনের জন্য স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান। 
 
এসময় জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু এমপি, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, নজরুল ইসলাম বাবু, সাইমুম সরওয়ার কমল, মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এবং সানজিদা খানম উপস্থিত ছিলেন।

পরবর্তীতে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ জাতীয় সংসদ সদস্যগণ ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, ‘মুজিব ও স্বাধীনতা’ শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস সংরক্ষণ ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস। এখানে প্রথম কক্ষে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস থেকে শুরু করে শেখ মুজিবের শৈশব ও কৈশোর, খোকা থেকে শুরু হয়ে তারুণ্যে মুজিব ভাই হয়ে ওঠা, ভারত ভাগ ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, উত্তাল ভাষা আন্দোলন ও ১৯৫০-এর দশকের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন, ৬ দফা, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭০-এর নির্বাচন পর্যন্ত প্রদর্শিত হয়েছে।

‘৭০-এর ঐতিহাসিক নির্বাচনে বিজয়ের প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে দ্বিতীয় কক্ষের ঘটনাপ্রবাহ এগিয়ে গেছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসের দিকে। শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণ, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক ২৫ মার্চের গণহত্যা, স্বাধীনতার ঘোষণা, দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের অকাতর সংগ্রাম এবং মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের আত্মত্যাগের ধারাবর্ণনা স্থান পেয়েছে এই কক্ষে।

তৃতীয় কক্ষে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল বিজয়, মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদানের সাথে আরও রয়েছে শেখ মুজিবের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন, আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের পরিচিতি সুসংহত করার ইতিহাস।