এয়ারলাইন্সগুলোর সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে সম্মানিত হজ গমনেচ্ছুরা হজ ক্যাম্পে কোনো ধরনের হয়রানি ও ভোগান্তির স্বীকার হয়নি বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি জানান, দেশের ৬৪ জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মসজিদ রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরে ধর্মমন্ত্রী এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার কারণে বাংলাদেশ হতে কোন হজ গমনেচ্ছু সৌদি আরব গমন করেনি। ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে এয়ারলাইন্সসমূহের সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে সম্মানিত হজ গমনেচ্ছু হজ ক্যাম্পে কোন ধরনের হয়রানি ও ভোগান্তির স্বীকার হয়নি। তবে এ ধরনের সমস্যা নিরসনে ভবিষ্যতে সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে এয়ারলাইন্সসমূহের সাথে আলোচনা করে সিডিউল নির্ধারণ করা হবে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর লিখিত প্রশ্নের উত্তরে ধর্মমন্ত্রী জানান, দেশের ৬৪ জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মসজিদ রয়েছে। উক্ত মসজিদসমূহে প্রায় ১৭ লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিন কর্মরত রয়েছে। তারমধ্যে বায়তুল মোকারম জাতীয় মসজিদ, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ এবং জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে তিনজন খতিব, ছয়জন পেশ ইমাম ও ছয়জন মুয়াজ্জিনের বেতন-ভাতা সরকারিভাবে দেওয়া হয়। প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় একজন ইমাম, একজন মুয়াজ্জিন ও একজন খাদেমকে সম্মানীর ভিত্তিতে নিয়োগ করা হচ্ছে। একইসাথে ৫৬৪টি মডেল মসজিদের রাজস্ব খাতে পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সারাদেশে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পে ৪৯ হাজার ৭১৯ জন ইমাম ও মুয়াজ্জিন কর্মরত উল্লেখ করে ফরিদুল হক খান জানান, তাদেরকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা হারে সম্মানী দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের পরিধি বাড়িয়ে অন্যান্য ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের সন্মানির আওতায় আনা হবে। ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় প্রতি বছর ৫ হাজার ৫০০ জনকে ৪ হাজার টাকা হারে ২ কোটি ২০ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। তবে ট্রাস্টি বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আর্থিক সাহায্য গ্রহণকারীর সংখ্যা ও সাহায্যের পরিমাণ বাড়ানো হয়। এছাড়া কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় প্রতিবছর ৬০০ জনকে ১৫ হাজার, ২০ হাজার ও ২৫ হাজার এই তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করে এক কোটি ২০ লাখ টাকা সুদবিহীন ঋণ দেওয়া হয়।