অর্থনীতিতে ড. ইউনূসের অবদানের প্রশংসায় ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন

বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্রান্তিকালে, বিশেষ করে সত্তরের দশকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে ভূমিকা রেখেছেন তার প্রশংসা করেছে রামোন ম্যাগসাইসাই অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশন। বৃহস্পতিবার দুই দিনব্যাপী ১৪ তম সামাজিক ব্যবসা সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে তার এ প্রশংসা করা হয়।

ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় ইউনূস সেন্টার এবং ফিলিপাইন ভিত্তিক নেগ্রোস ওইমেন ফর টুমরো ফাউন্ডেশনের (এনডব্লিউটিএফ) সৌজন্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১৪তম সামাজিক ব্যবসা দিবস। এ বছর উক্ত দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সোশ্যাল বিজনেস: এন এক্সিট রুট ফ্রম দ্য কারেন্ট সেল্ফ-ডেস্ট্রাকটিভ সিভিলাইজেশন’। 

সম্মেলনের প্রথম দিন (বৃহস্পতিবার) স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোরশেদ। বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশ থেকে ৫০০ জনেরও বেশি অংশগ্রহণকারী সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।

এছাড়া সারা বিশ্বের ১১৫ জন বক্তার মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ রয়েছেন আলবুখারি ফাউন্ডেশন- মালয়েশিয়ার ট্রাস্টি শরিফাহ সোফিয়া আলবুখারি, চায়না ইউনাইটেড স্টেটস এক্সচেঞ্জ ফাউন্ডেশন প্রেসিডেন্ট জেমস চাউ, এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারগাব দাশগুপ্ত, গ্রামীণ চায়নারসহ প্রতিষ্ঠাতা ঘাও ঝান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিম হোসেইন শাওনসহ অনেকে।

অনুষ্ঠানে ১৯৮৪ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এশিয়ার নোবেলখ্যাত ‘রামোন ম্যাগসাইসাই’ পুরস্কার পাওয়ার কথা স্মরণ করেন রামোন ম্যাগসাইসাই এওয়ার্ড ফাউন্ডেশন এর প্রেসিডেন্ট সুজানা বি. আফনান। ড. ইউনূসের ভূয়সী প্রশংসা করে সুজানা বলেন, বাংলাদেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল ছিল তখনই এগিয়ে এসেছিলেন প্রফেসর ইউনূস। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের জীবন বদলে দিয়েছেন তিনি।

এ সময় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বক্তৃতায় বলেন, ‘সারা বিশ্ব এবং সভ্যতা ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে। এই সভ্যতা মানুষকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। বেঁচে থাকতে হলে চাই নতুন সভ্যতা।’

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কারমান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিচার ব্যবস্থাকে মানুষের হয়রানির কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাওয়া প্রফেসর ইউনূসের বিরুদ্ধেও তার নিজ দেশে মামলা দেয়া হয়েছে। গাজায় গণহত্যা চালানো হচ্ছে- মন্তব্য করে তিনি সেখানে এই মুহূর্তে তা বন্ধের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী সামাজিক ব্যবসা সম্মেলনর পর ২৯ শে জুন একাডেমিয়া ডায়ালগ এবং থ্রি জিরো ক্লাব কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে।