চাঁপাইনবাবগঞ্জে আ. লীগ নেতাসহ ২ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদ সদস্য ও শিবগঞ্জ নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। একই সময় স্কুল শিক্ষক আব্দুল মতিনকেও গুলি করে হত্যা করা হয়।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার রাণীহাটী ডিগ্রি কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় আহত হয়েছেন মো. টিটো ও আব্দুর রহিম নামে দুজন। 

নিহত আবদুস সালাম (৪৭) শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের এত্তাজ আলীর ছেলে আব্দুস সালাম এবং আব্দুল মতিন আলী (৫৫) হরিনগর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ফতেপুর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন।

স্থানীয়রা জানান, রাণীহাটী কলেজের সামনে থাকা আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাছে বসে ছিলেন আব্দুস সালামসহ তার কয়েকজন। এ সময় দুর্বৃত্তরা অতর্কিত হামলা চালায়। দুর্বৃত্তদের ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আব্দুস সালাম। এ সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মতিন আলীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

হাসপাতালটির চিকিৎসক ডা. মিম ইফতেখার জাহান বলেন, রাত ৯টার দকে মতিন আলীকে এখানে নিয়ে আসা হয়। তার পুরো শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। আমি যেটা দেখলাম তা হলো- মাথার পেছন দিকে একটা ইনজুরি ছিল। সম্ভবত গুলি করা হয়েছিল। আর একটি ছিল বাম পায়ে। সেটাও সম্ভবত গুলির ক্ষত। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে হাসপাতালে নিয়ে আসার পথেই মতিন আলী মারা যান।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া আরও দুজন রোগী ছিল। তারা শঙ্কামুক্ত। তাদের মধ্যে একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নয়ালাভাঙ্গা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে পুলিশ সুপার ছাইদুল হাসান ঘটনাস্থল ও জেলা হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। তিনিও ২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা মনে করছেন, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।

ঘটনাস্থল থেকে একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।