‘সরকার ভারতের মনোতুষ্টির জন্য কাজ করছে’

‘আমরা এখন আত্মঘাতী খেলায় মেতে দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছি। ক্ষমতাসীন সরকার ভারতের মনোতুষ্টির জন্যই কাজ করছে। কার্যত, এই সরকার ভারতের সরকার।’ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে গর্ভনেন্স এন্ড পলিসি (জিপিআর) আয়োজিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অন্তরায় ও করণীয় শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।

সাবেক জেলা জজ ইকতেদার আহমেদের সভাপতিত্বে ও মিনহাজুল আবেদিনের উপস্থাপনায় সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ করেন সিপিআরের সমন্বয়ক কর্নেল মুহাম্মদ আবদুল হক। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুল রউফ।

এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন কর্নেল (অব.) মশিউজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোজাহারুল ইসলাম, এসএম নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জহুরুল আলম, কর্নেল (অব.) নাজিমুল ইসলাম, কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, পরিবেশ বিজ্ঞানী প্রফেসর আব্দুর রউফ, ব্যারিস্টার মেজর (অব.) সারোয়ার হোসেন, এসএম নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক মেহেদী হাসান পলাশ, মানবাধিকার কর্মী নুরুল হুদা, মেজর (অব.) মো. ইমরান প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সরকার তার ক্ষমতার আসন পাকাপোক্ত করার জন্যই জন্যই এই সমঝোতা স্মারক চুক্তি করেছেন। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ চূড়ান্ত পর্যায়ে ভারতের করদরাজ্যে পরিণত হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বলে আর কিছু থাকবে না। সীমান্ত অরক্ষিত। নিয়মিত সেখানে পশুর মতো মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তিস্তা পানি বণ্টনের ন্যায্য হিস্যা আমরা আজও বুঝে পাইনি। বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠান অরক্ষিত। শিক্ষা, অর্থনীতি, রাজনীতি ও সামাজিক অবক্ষয়ের জন্য ভারত দায়ী।

তারা আরও বলেন, আমরা বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। প্রয়োজনবোধে আবার রক্ত দেব। তবু আমরা আমাদের এই রাষ্ট্রকে যে কারও হাতে তুলে দিতে পারি না। দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ।  দেশের মানুষকে সচেতন করতে হবে। তাদেরকে নিয়ে একটা গণঅভ্যুত্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই আমরা এই ক্ষমতাসীন সরকারকে উৎখাত করে একটি গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা উপহার দিতে পারবো।