টেন্ডার ছাড়াই এশিয়াটিক ও পিয়ার পদ্মা সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠানের কাজ পাচ্ছে

টেন্ডার ছাড়াই পদ্মা সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের কাজ এশিয়াটিক মার্কেটিং লিমিটেড এবং পিয়ার এন্টারপ্রাইজকে দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। আগামী ৫ জুলাই পদ্মা সেতু এলাকায় এ উপলক্ষে সুধী সমাবেশের আয়োজন করবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। এতে বিশেষ অতিথি থাকবেন ১৫০০ জন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন।

সূত্রে জানা গেছ, এ অনুষ্ঠানের খরচ হবে ৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবটি বুধবার ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করার কথা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাওয়া এলাকায় প্যান্ডেল টানিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সুধীজনদের সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে। প্রস্তাবে কোনো ধরনের টেন্ডারের কথা বলা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, পদ্মা সেতুর সমাপনী অনুষ্ঠান দ্রুত সময়ে মানসম্মত ভাবে আয়োজনের জন্য অভিজ্ঞতা আছে এমন প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে হবে। যাদের এমন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে পারার মতো আর্থিক সামর্থ্যও থাকতে হবে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দুটি গণযোগাযোগ (পিআর) সংস্থার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে এমন অনুষ্ঠান করার। সে দুটি হলো, শিয়াটিক মার্কেটিং লিমিটেড এবং পিয়ার এন্টারপ্রাইজ। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি কোনো কাজ টেন্ডার ছাড়া করার নিয়ম নাই। যেখানে কয়েক কোটি টাকার কাজ, সেখানে টেন্ডার আহ্বান করা আবশ্যক। 

সূত্র জানায়, সেতু কর্তৃপক্ষের কাছে এ প্রকল্পের ৬০ কোটি ৫ লাখ টাকা অব্যবহৃত রয়েছে। সেই খাত থেকে অনুষ্ঠানের জন্য ব্যয় করা হবে। সরকারি হিসাব বলছে, বিশাল এ কর্মযজ্ঞ শেষ করতে বরাদ্দকৃত অর্থ ছিল ৩২ হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা। 

৩০ জুন ছিল পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প কাজের  শেষ দিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগামী ৫ জুলাই মাওয়া যাবেন। পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মূল সেতুর ১৩ হাজার ১৩৩ কোটি খরচে সাশ্রয় হয়েছে প্রায় ৫২৬ কোটি টাকা। তবে নদী শাসনে বেশি লেগেছে প্রায় ১৭১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ১৩ হাজার ৬৫৯ কোটির সবশেষ বরাদ্দের বিপরীতে মূল সেতুতে খরচ হয়েছে ১৩ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা, সাশ্রয় হয়েছে ৫২৬ কোটি। অ্যাপ্রোচ রোডে সাশ্রয় ১৮৫ কোটি টাকা। তবে নদী শাসনে বেশি লেগেছে প্রায় ১৭১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। আর প্রাইস কন্টিজেন্সি ও ফিজিক্যাল কন্টিজেন্সির ৫০০ কোটি করে ১০০০ কোটি টাকার পুরোটাই সাশ্রয় হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।