৩০০ টাকায় ৪টি বেগুন, ২টি করলা, এক আঁটি বরবটি ও কয়েকটি কাঁকরোল

ছবিটি ফেসবুক থেকে নেওয়া

ক্রমাগত বাড়তে থাকা দ্রব্যমূল্যে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস। মাছ-মাংস তো দূরে থাক, শাক-সবজিও কেনারও সক্ষমতা হারাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজ-মরিচসহ সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম। ভোজ্য তেল, আটা-ময়দা, চিনি, মুরগি ও গরুর মাংস এবং ডিমের দামও নাগালের বাইরে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে বিরোধী দলগুলো নানা সময়ে বক্তব্য দিয়েছে। সরকারও স্বীকার করেছে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা। তবে তাদের কোনো চেষ্টায় কাজে আসেনি। এখন এ নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও কথা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন এক ব্যক্তি। যেখানে দেখা যাচ্ছে ৪টি বেগুন, ২টি করলা, এক আঁটি বরবটি ও কয়েকটি কাঁকরোল; যার দাম দাবি করা হয়েছে ৩০০ টাকা।

মুতাসিম বিল্লাহ নামে ওই ব্যক্তির ফেসবুক পোস্টের নিচে অনেকেই কমেন্ট করছেন। যাদের কেউ কেউ বলছেন, এই সবজিগুলোর দাম এতো বেশি না। তবে অনেকেই দ্রব্যমূল্য নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন।

সেখানেই একজন মন্তব্য করেছেন, ‘একমাত্র আল্লাহ ছাড়া এই দুঃখ বোঝার মত কেউ নেই।’

মুতাসিম বিল্লাহ অবশ্য তার পোস্টের একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তিনি একজনের মন্তব্যের প্রতিত্তোর দিয়েছেন এভাবে- বরবটি এক কেজি ৮০ টাকা, বেগুন ১ কেজি ১০০ টাকা, করল্লা ৭০ টাকা, আর গলগুল্লা ৫০০ গ্রাম ৫০ টাকা। তিনি বলেছেন, সবজিগুলো ঢাকা থেকে কিনেছেন।

টিউলিপ নামে একজন লিখেছেন, ‘এখন নিত্যকার চালচিত্র আমাদের ঢাকার।’

মিয়া মুর্তজা হোসেন নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, রাজধানীর কচুক্ষেত বাজারে বুধবার বেগুনের কেজি ছিল ১২০ টাকা, বরবটি ১৪০ টাকা, বড় করলা ৮০ টাকা ও কাঁকরোলের কেজি ছিল ১২০ টাকা।

সেখানে আরেকজন লিখেছেন, ৮০-১০০ টাকার নিচে কোনো সবজিই পাওয়া যায় না। কাঁচা বাজারে আগুন বলেও উল্লেখ করেছেন তারা।

দেশের গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার বাজারে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। পেঁয়াজের কেজি ১১০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা, বেগুন ১০০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, গাঁজর ১৭০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, কাঁচা পেপে ৫০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৫০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হয়েছে। লেবু বিক্রি হয়েছে ২০ টাকা হালি।

বাজারে মাছ-মাংসের দামও বাড়তি। ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজিতে। সিলভার কার্প ২৮০, দেশি পুঁটি ৬০০, চাষের কৈ ২০০, শিং ৪০০, শোল ৮০০, মাঝারি আকারের রুই ৪০০, বড় পাঙ্গাশ ২২০, তেলাপিয়া ২৫০, ট্যাংরা ৪০০, পাবদা ৪৮০, মলা ৭০০, কাতলা ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ ও ব্রয়লার মুরগি অপরিবর্তিত অবস্থায় ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।