গ্যাস সংকট: ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কবলে দেশ

প্রতীকী ছবি

তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় ব্যাপক লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে দেশ।

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির অফিসিয়াল পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ১ হাজার ৮৫০ মেগাওয়াট লোডশেডিং দিয়ে দিন শুরু হয়। আর দুপুর ১২টায় বিদ্যুৎ সরবরাহে ১ হাজার ৭৯৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দেয়।

সেসময় দেশে ১৪ হাজার ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ছিল ১২ হাজার ৮৭০ মেগাওয়াট।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সন্ধ্যায় দেশের চাহিদা সাড়ে ১৫ হাজার মেগাওয়াটে উঠবে। এসময় বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ আরও বাড়ে।

ঢাকা নগরীতে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। কারণ, অনেক এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন তারা বিভিন্ন সময়ে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের মুখোমুখি হচ্ছেন তারা।

বিদ্যুৎ সরবরাহের এই পরিস্থিতির জন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ মারাত্মকভাবে কমে যাওয়াকে দায়ী করছেন বিদ্যুৎ ইউটিলিটি কর্মকর্তারা।

পেট্রোবাংলার সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আমদানির এলএনজি সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশে গ্যাস সরবরাহ কমে দাঁড়িয়েছে দৈনিক ২ হাজার ২৫৩ মিলিয়ন ঘনফুটে (এমএমসিএফডি)।

বিপিডিবির কর্মকর্তারা জানান, পেট্রোবাংলার এলএনজি সরবরাহ ক্ষমতা ১ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট (এমএমসিএফডি) থেকে ২৪৩ মিলিয়ন ঘনফুটি নেমে এসেছে। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে যায়।

উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে। আর চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে।

গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশ্বাস দেন।

প্রতিমন্ত্রী দাবি করেন, ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে।

নসরুল হামিদ বলেন, ৭০০ নদীর দেশ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরবচ্ছিন্ন রাখা সত্যিই কঠিন।

তিনি বলেন, ‘আমরা এখন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ১৫-১৬ জুলাই থেকে গ্যাস নিরবচ্ছিন্ন থাকবে।’

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদন শুরু করার পাশাপাশি আদানিও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে বলে জানান তিনি।