বিরক্ত হয়ে কোটা বাদ দিয়েছিলাম, দেখতে চেয়েছিলাম কী হয়: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আন্দোলনে বিরক্ত হয়ে কোটা বাদ দিয়েছিলাম, দেখতে চেয়েছিলাম কী হয়। মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় এনে দিয়েছিল বলেই তো তারা কথা বলতে পারছে।’

রবিবার (১৪ জুলাই) চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের পর শেখ মুজিবুর রহমান নারীদের জন্য ১০ শতাংশ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ কোটা দিয়েছিলেন। আমরাও কোটা নিয়োগ না পেলে মেধায় নিয়োগ দিতে চেয়েছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের নারীরা কোনোদিন ডিসি, এসপি হবে ভাবেনি। সেনা, নৌ বিমান বাহিনীতেও নারীদের নিয়োগ হচ্ছে। পার্লামেন্টেও নারীদের সংরক্ষিত আসন আছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই সময় যারা আন্দোলন করেছিল তারা বলেছিল- নারী কোটা চায় না। আমার প্রশ্ন- যারা আন্দোলন করেছিল তারা কী জায়গা পেয়েছে; প্রিলি পাশ করতে পেরেছে? আবার সব এলাকাও তো এক না। এজন্যই কোটা।’

তিনি বলেন, ‘৪২তম বিসিএসে শুধু ডাক্তার নিয়োগ হয়েছে; এখানে দেখেছি মেয়েদের সংখ্যা বেশি। কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে মেয়েরা পিছিয়ে। কোটা বাতিলের পর মুক্তিযোদ্ধারা মামলা করলো। কোর্টের রায়ের পর এক্সিকিউটিভ অথরিটির কিছু করার নেই।’

তিনি বলেন, ‘যারা আন্দোলন করছে তারা আইন-আদালত মানবে না। সংবিধান মানবে না। সরকার কীভাবে চলে তাদের ধারণা নেই। পড়াশুনা করছে ঠিকই; তাদের এই ধারণা দরকার। সংবিধান কী বলে তা জানা উচিত। আদালতে গেলে সেখানে সমাধান হবে। তাদের আদালতও সুযোগ দিয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আদালতের বিরুদ্ধে আমার দাঁড়ানোর সুযোগ নেই। এটা বাস্তবতা। মানতে হবে, না মানলে কিছু করার নেই। আন্দোলন করুক, কিন্তু ধ্বংসাত্মক কিছু করতে পারবে না। আইন তার আপন গতিতে চলবে।’

তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? তাদের নাতি-পুতিরা পাবে না তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে?’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিরক্ত হয়ে কোটা বাদ দিয়েছিলাম, দেখতে চেয়েছিলাম কী হয়। মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় এনে দিয়েছিল বলেই তো কথা বলতে পারছে।’

তিনি বলেন, ‘সংবিধানে আছে অনগ্রসরদের কথা। মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে?’