আন্দোলন দমাতে মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ

সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে এবার টেলিযোগাযোগ বিভাগের ‘বিশেষ প্রযুক্তি’ ব্যবহার করে ঢাকার নির্দিষ্ট এলাকার ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার ঢাকার ধানমন্ডি, মহাখালী, বাড্ডা, নতুন বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট অন থাকলেও কোন অ্যাপে ডেটা সংযোগ স্থাপন করা যাচ্ছে না।

বিষয়টি দ্য মিরর এশিয়ার পক্ষ থেকে দুটি অপারেটরের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এখন আর নির্দেশনা দিয়ে ইন্টারনেট বন্ধ করতে হয় না সরকারকে। মঙ্গলবার সকাল থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি সীমিত করে রাখা হয়েছে।

মোবাইল ফোন অপারেটরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীরা যেখানে সমবেত হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে, সেসব এলাকার বেইজ স্টেশনগুলোর ইন্টারনেট সেবা নিয়ন্ত্রন করছে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে কোন অপারেটরই থ্রিজি সেবা দিচ্ছে না। ফলে ফোরজি (চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক) বন্ধ করে দিলে ফোনে ইন্টারনেট চলবে না। শুধু কল আর এসএমএস যাবে। হোয়াটসঅ্যাপসহ ভয়েস ওভার কোন অ্যাপে সংঘবদ্ধ হতে পারবে না আন্দোলনকারিরা।

কোন নির্দিষ্ট এলাকার মোবাইলের সংযোগ নিয়ন্ত্রনে বিশেষ প্রযুক্তি কিনেছে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর। ফলে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) মোবাইল সেবার নিয়ন্ত্রন করা করার কথা থাকলেও মাফিক গ্রাহকের মোবাইলের নিয়ন্ত্রন নিতে পারে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ দ্য মিরর এশিয়াকে বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহার এখন মানবাধিকার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশে সরকার আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা না করে ইন্টারনেট বন্ধ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।