আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার বিচার দাবি

কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিচার দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১১৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিবৃতিতে হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি হামলার হুকুমদাতা হিসেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করেছি যে গতকাল এবং আজ কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর নির্বিচার হামলা চালানো হয়েছে। পত্র-পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে, ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পিস্তল, রড, লাঠি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে এই হামলা করে। তাদের এই নির্বিচার হামলায় নারী শিক্ষার্থীরাও রেহাই পায়নি। এই বর্বরোচিত হামলায় আমরা ক্ষুদ্ধ ও বেদনার্ত হয়েছি। আজ আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণে কমপক্ষে চারজনের মৃত্যুর বেদনাদায়ক সংবাদ আমরা পেয়েছি। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এর জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

এতে বলা হয়, আন্দালনকারীদের ওপর হামলা, কয়েকজনকে হত্যা করা এবং শত শত শিক্ষার্থীকে আহত করা দেশের প্রচলিত আইনে গুরুতর ফৌজদারী অপরাধ। হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে জরুরি বিভাগে থাকা অবস্থায় তাদের ওপর আবারো হামলা চালানো হয়েছে, এটি মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য। আমরা এসব হামলার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও উপযুক্ত শাস্তি চাই। সেই সাথে এসব হামলার হুকুমের আসামি হিসেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।  

বিবৃতিদাতারা বলেন, ‘আমরা এই হামলা প্রতিরোধে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনগুলোর ব্যর্থতার নিন্দা জানাই। একইসাথে আমরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের যৌক্তিক দাবীর প্রতি আমাদের সমর্থন জানাই।’

বিবৃতিদাতারা হলেন-

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশ পরিবেশকর্মী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অধ্যাপক স্বপন আদনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সি আর আবরার, ড. আসিফ নজরুল, ড. শাহনাজ হুদা, অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, রুশfদ ফরিদী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আনু মুহাম্মদ, মাহা মির্জা, আইনুন নাহার, মানস চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, নিউইউর্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দিনা সিদ্দিকী, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, অধ্যাপক পারভীন হাসান, অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম, মানবাধিকার কর্মী শিরিন প হক, নূর খান লিটন, রেহনুমা আহমেদ, হানা শামস আহমেদ, রেজাউর রহমান লেলিন, আইনজীবী তবারক হোসেইন, ডা. নায়লা জেড খান, আদিবাসী অধিকার সুরক্ষাকর্মী রাণী ইয়েন ইয়েন, সাংবাদিক কামাল আহমেদ, আইনজীবী ও গবেষক রুহী নাজ, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সিরাজাম মুনিরা, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বুলবুল আশরাফ। 

নির্মাতা আশফাক নিপুন; আলতাফ পারভেজ, লেখক ও গবেষক; রায়হান রাইন, অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, আফসানা বেগম, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট; মাহবুব মোর্শেদ, কথাসাহিত্যিক; হামীম কামরুল হক, কথাসাহিত্যিক; সালেহীন শিপ্রা, কবি, কথাসাহিত্যিক ও সমালোচক; সায়েমা খাতুন, যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক নৃবিজ্ঞানী; আ-আল মামুন, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; সাখায়াত টিপু, কবি; কাজল শাহনেওয়াজ, কবি; মোস্তফা নাজমুল মনসুর তমাল, অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; আর রাজী, সহকারী অধ্যাপক, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; আবুল কালাম আল আজাদ, সমন্বয়ক, ব্রহ্মপুত্র সুরক্ষা আন্দোলন; অমল আকাশ, শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠক; মুহাম্মদ কাইউম, চলচ্চিত্র পরিচালক; কল্লোল মোস্তফা, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট; ফিরোজ আহমেদ, লেখক, রাজনৈতিক কর্মী; বখতিয়ার আহমেদ, অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; রাখাল রাহা, লেখক ও সম্পাদক; ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, উন্নয়ন বিশ্লেষক; মো. শাহজালাল; তথ্য অধিকার কর্মী; মোহাম্মদ আজম, শিক্ষক ও গবেষক; জাকির তালুকদার, লেখক; বায়েজিদ বোস্তামী, কবি; ফেরদৌস আরা রুমী, কবি ও অধিকারকর্মী; সাঈদ জুবেরী, কবি ও সাংবাদিক; সারোয়ার তুষার, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট; জিয়া হাশান, কথাসাহিত্যিক।

ফাতেমা সুলতানা শুভ্রা, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়; লুৎফুল্লাহিল মজিদ, স্থপতি; অস্ট্রিক আর্যু, লেখক; ড. স্নিগ্ধা রেজওয়ানা, সহযোগী অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; দীপক রায়, প্রকাশক ও রাজনৈতিক কর্মী; তাসনুভা অরিন, কবি; মাহাবুব রাহমান, প্রকাশক; গাজী তানজিয়া, কথাসাহিত্যিক; মজনু শাহ, কবি; খোকন দাস, কথাসাহিত্যক; মোহাম্মদ রোমেল, সংগঠক; লতিফুল ইসলাম শিবলী, গীতিকার; ইসমাইল হোসেন, সাংবাদিক; তুহিন খান, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট; সারোয়ার তুষার, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট; সহুল আহমদ, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট; পারভেজ আলম, লেখক ও সাংবাদিক; দিলশানা পারুল, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট; এহসান মাহমুদ. কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক; সাইয়েদ জামিল, কবি; সৈয়দ নাজমুস সাকিব, শিক্ষক ও মিডিয়াকর্মী; রুম্মানা জান্নাত, কবি; মিছিল খন্দকার, কবি; কাউকাব সাদী, কবি; জি এইচ হাবীব, সহকারী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; ইমরুল হাসান, কবি ও লেখক; আবু বকর সিদ্দিক রাজু , প্রকাশক; তামান্না আজিজ তুলি, সহকারী অধ্যাপক, আইন ও বিচার বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; রাসেল রায়হান, কবি ও লেখক; রুহুল মাহফুজ জয়, কবি; মারুফ মল্লিক, লেখক ও সাংবাদিক; চঞ্চল বাশার, কবি; সালাহ উদ্দিন শুভ্র, কথাসাহিত্যক; মো. শাহজালাল, তথ্য অধিকার কর্মী; ওমর তারেক চৌধুরী, অনুবাদক, অ্যাক্টিভিস্ট; আব্দুল হালিম চঞ্চল, শিল্পী ও শিক্ষক; মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন, কথাসাহিত্যিক; ফেরদৌস আরা রুমী, কবি ও অধিকারকর্মী।

তানিয়াহ মাহমুদা তিন্নী, শিক্ষক, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; মফিজুর রহমান লাল্টু, সাধারণ সম্পাদক, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র; বাকি বিল্লাহ, একটিভিস্ট এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন; সীমা দত্ত, সভাপতি, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র; রহমান মুফিজ, কবি ও সাংবাদিক; সাধনা মহল, গবেষক ও অধিকার কর্মী; ফেরদৌস আরা রুমী, একটিভিস্ট; একটিভিস্ট শোয়েব আব্দুল্লাহ, রেদওয়ান আহমেদ সাংবাদিক ও সাংবাদিক-অধিকার কর্মী; মোস্তফা জামান, শিল্পী ও লেখক; আহমেদ স্বপন মাহমুদ, কবি, প্রাবন্ধিক; শারমিন খান, আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী; মারজিয়া প্রভা, একটিভিস্ট; মোশফেক আরা শিমুল, মানবাধিকারকর্মী; ড. মোবাশ্বার হাসান, লেখক ও গবেষক, সিডনি।