জাহাঙ্গীরনগরে পুলিশের হামলা, মুহুর্মুহু গুলি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা শুরু করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হামলা শুরু করে পুলিশ।

পুলিশ শিক্ষার্থীদের দিকে মুহুর্মুহু টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার ঘোষণার পর ক্যাম্পাসে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাস ঘিরে অবস্থান নিয়েছে কয়েকশ’ পুলিশ। তাদের সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদেরও দেখা গেছে।

তবে হল ছাড়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই শতাধিক পুলিশ সদস্য শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের দিকে রয়েছেন। এতে শিক্ষার্থী ও পুলিশ মুখোমুখি অবস্থায় অবস্থান করছেন।

অন্যদিকে, ক্যাম্পাসেই বাইরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিজিবি ও র‌্যাব-৪-এর শতাধিক সদস্য অবস্থান করছেন।

বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়। সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে এক বিজ্ঞপ্তি আকারে সিদ্ধান্তগুলো জানানো হয়। এতে বলা হয়, বিকেল ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে হবে।

এতে আরেও বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ যথারীতি খোলা থাকবে।

প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন হল থেকে স্লোগান নিয়ে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার ভবনে জড়ো হন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত তারা প্রত্যাখ্যান করেন।

আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ সোহেল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা আমরা প্রত্যাখান করেছি। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।