পুলিশের অ্যাকশনেও মাঠ ছাড়বে না শিক্ষার্থীরা, আহত ৩ শতাধিক

মুহুর্মুহু গুলি, টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও রাবার বুলেট এবং হলে হলে ঢুকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বেধড়ক লাঠিপেটার পরও ক্যাম্পাস না ছাড়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। দিনভর পুলিশি হামলায় কয়েকশ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে কৌশল পাল্টে আন্দোলন জমিয়ে রাখার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন কোটা বিরোধী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক দ্য মিরর এশিয়াকে বলেন, সারাদিন ক্যাম্পাসে ২৫ প্লাটুন পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের মোকাবিলা করেছে। সন্ধ্যার পর পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় করবে এমন খবরে তারা কৌশলী অবস্থানে রয়েছেন। আবাসিক হলপাড়া এখানো আন্দোলনকারীদের দখলে। তবে পুলিশ ছাত্রদের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে কোনো কোনো হলে ঢুকে পড়ছে।

তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের কোথাও কোনো ছাত্রলীগ নেই। তবে পুলিশ ছাত্রলীগের কাজটি করছে। তারা হলগুলোতে ঢুকে বেপরোয়াভাবে ছাত্রীদের ওপর হামলা করছে। আমাদের অনেকে গুলিবিদ্ধ।অনেকেই আটক হচ্ছে। তারপরও আমরা আন্দোলন কৌশল পরিবর্তন করে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লড়ে যাব।

এদিকে পুলিশের একটি সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেসব পুলিশ অভিযানে অংশ নেয় তাদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। নিজেদের ছোঁড়া টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে অসুস্থ এসব পুলিশকে ডিএমপিতে ফিরিয়ে এনে তাদের স্থলে নতুন সদস্যদের পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আন্দোলনকারীদের সূত্রে জানা গেছে, তারা রাতের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থান শিথিল করলেও শহরের বিভিন্ন স্থানে থাকবে। আন্দোলন চালিয়ে যেতে সব ধরণের কৌশল তারা অবলম্বন করবে।

এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের পর হলের কিছু কিছু সাধারণ শিক্ষার্থী হল ছেড়ে গেছে বলে জানা গেছে।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় প্রাণহানির প্রেক্ষাপটে বুধবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভা বসে।

ওই সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্যবন্ধ ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি আজ সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে সব আবাসিক শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সিন্ডিকেটের ওই সিদ্ধান্ত নাকোচ করে পাল্টা পাঁচ দফা ঘোষণা দেয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।