ঢাকার বিভিন্ন রাজপথ শিক্ষার্থী-জনতার দখলে

কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রলীগের হামলায় কয়েকজন নিহত এবং অসংখ্য আহত হওয়ার ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভিন্ন রাজপথ দখলে নিয়ে নিয়েছে জনতা ও শিক্ষার্থীরা। অবশ্য এর আগে পুলিশ ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এতে হতাহতের খবরও পাওযা গেছে।  

দ্য মিরর এশিয়ার প্রতিনিধির পাঠানো খবরে জানা যায়, রাজধানীর চৌধুরিপাড়া আবুল হোটেল থেকে বাড্ডা লিংক পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা দখলে নিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সকালে ব্রাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর পুরো এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীরা। এর সঙ্গে যুক্ত হয় স্থানীয় জনতাও।  

সরেজমিনে দেখো গেছে, মালিবাগ চৌধুরিপাড়া মোড়ে খিলগাঁও-রামপুরা এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। তাদের সঙ্গে অভিভাবকদেরও দেখা গেছে। এ সড়েকে পুলিশের বেশকিছু যানবাহনে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। 

আমাদের আরেক প্রতিনিধি জানান, রাজধানীর শান্তিনগর মোড় স্থানীয় স্কুলগুলোর শিশু-কিশোররা দখলে নিয়েছে। দুপুরের দিকে কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল, ভিকারুন নেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা রাস্তায় নেমে আসে। এ সময় তারা কাকরাইল হতে শান্তিনগর মোড়ের পুরো নিয়ন্ত্রণ নেয়। 

দুপুর ২টার দিকে স্কুলের শিক্ষার্থীদের ওপর পল্টন ও মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের বেশকিছু নেতকর্মী হামলা চালায়। হামলায় উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ২ শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে যায়। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হামলার পর ছাত্রলীগকে ধাওয়া দিয়ে এলাকা ছাড়া করে স্থানীয়রা। 

এদিকে বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর মৌচাক মোড়ের দখল নিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় স্কুল কলেজের প্রায় হাজারখানেক ছাত্রী মৌচাক মার্কেটের সামনের মোড়ে অবস্থান নিয়ে পুরো এলাকার দখল নেয়।

এ ছাড়া মিরপুর ১০ গোল চত্বরও শিক্ষার্থী এবং জনতা দখলে নিয়ে নিয়েছে। তারা সেখানকার পুলিশ বক্সে আগুন দেয়। আওয়ামী লীগের সমাবেশও পণ্ড করে দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। 
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ধানমন্ডি, সায়েন্সল্যাব এলাকার প্রধান সড়কগুলোও শিক্ষার্থী-জনতার দখলে।