ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করার দাবী জাতিসংঘের কাছে

ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ করার দাবীতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও ওইতেরেসের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বন শহরের বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘনের বিষয়টি তদন্তের জন্য একজন সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিস্তারিত তদন্তেরও দাবী জানানো হয় এতে। 

বাংলাদেশে চলমান আন্দোলন ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদের জার্মানির বন শহরের জাতিসংঘ দফতরের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বাংলাদেশীরা। এসময় তারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ফ্যাসিবাদ পতনের দাবীতে স্লোগান দেয়।

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কবির ভূইয়া সমাবেশে যোগ দিয়ে বলেন, একটি মুক্ত স্বাধীন দেশে এভাবে আমাদের সন্তানদের হত্যা মেনে নেওয়া যায় না। আমার পিতা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল নির্বিাচরে মানুষ হত্যার জন্য না। আমরা এই হত্যার প্রতিবাদ জানাই। 

সমাবেশে অংশ নিয়ে লেখক ও সাংবাদিক দ্য মিরর এশিয়ার সম্পাদক ড. মারুফ মল্লিক বলেন, বাংলাদেশ এক বৈপ্লবিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট শক্তিতে পরিনত হয়েছে। অসম্ভব সাহসী এক প্রজন্ম এই গন আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট শক্তির পতন ঘটিয়ে বহুপক্ষীয় অর্ন্তভূক্তিমুলক রাষ্ট্র গঠন করবে। গণহত্যাকারী পুলিশ, র্যাব ও সেনাসদস্যদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী থেকে বাদ দিতে হবে। ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করতে হবে।

ডয়চেভেলের বাংলা বিভাগের সাবেক সাংবাদিক রিয়াজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন হারুনুর রশিদ নোমান, ২০১৮ এ কোটা আন্দোলনের কর্মী ফখরুল দিপু।

ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী ফখরুল দিপু বলেন, বিবেকের তাড়নায় ছাত্রলীগ ছেড়ে ২০১৮ সালে কোটা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলাম। আমরা মেধার ভিত্তিতে একটি রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। কিন্তু হত্যা নির্যাতন করে আমাদের পথ রুদ্ধ করতে চায়। বিজয় আমাদের হবেই ইনশাআল্লাহ। 

হারুনুর রশিদ বলেন, স্বৈরাচার যখন বাস্তবতা বিল্পব সম্পন্ন করা তখন অধিকারে পরিনত হয়। বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন ঘটানো হবে।