কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষ হয়েছে

দুই দফায় বৈঠক করেও কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেননি সেনা কর্মকর্তারা। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন দমনে সরকারের সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত এবং সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শনিবার রাতে বৈঠক করেছেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পর্যারের একজন কর্মকর্তা বিষয়টি দ্য মিরর এশিয়াকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, প্রথম দফায় বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে না পারায় রাত ১১টায় দ্বিতীয় দফায় বৈঠতে বসেন। দ্বিতীয়বার বসেও তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। এর আগে গণভবনে বৈঠক করেন।

ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা স্পষ্টতই তিনভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। এক ভাগ সরকার নির্দেশ মেনে আন্দোলন দমনের পক্ষে। আরেক পক্ষ আন্দোলনকারীদের সমর্থন দেয়ার পক্ষে মত দেন। তৃতীয় একটি পক্ষ কাউকেই সমর্থন না দিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থানে সেনাবাহিনীকে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।  

তৃতীয় পক্ষের মত হচ্ছে কোনো পক্ষে জড়িয়ে গেলে সেনাবাহিনীর সুনাম নষ্ট হবে। এছাড়াও ভবিষ্যতে সেনা সদস্যদের নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখী হতে হবে। জাতিসংঘের শান্তি মিশন, বিদেশ প্রশিক্ষণে ঝামেলা হতে পারে বিবেচনা করে তৃতীয় পক্ষও সরকারের নির্দেশ মেনে আন্দোলন দমনের বিরোধীতা করেন। একই সঙ্গে আন্দোলনকারীদের পক্ষেও না যেতে মত দিয়েছেন। তারা সেনাবাহিনীকে রাজনীতি না জড়ানোর পরামর্শ দেন। 

বৈঠকে বিভিন্ন ডিভিশনের জিওসি ও পদাতিক ডিভিশনের সেনা কর্তারা সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের উপস্থিতিতে অংশ নেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে সেনানিবাসের বিভিন্ন ইউনিটেও বৈঠক হয়েছে বলে ওই সূত্রে জানা গেছে।