পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলায় সারাদেশে ৩ শতাধিক নিহত

শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে ঢাবিতে কফিন মিছিল। ছবি: দ্য মিরর এশিয়া।

সারাদেশে সরকারি বাহিনীর হামলায় তিনশতাধিক ছাত্র জনতা নিহত হয়েছে বলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। হামলায় নিহতদের স্মরণে সোমবার বাদ জোহর সারাদেশে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। 

আপিল বিভাগের রায় ঘোষণার পর সংগঠনটির ৫৯ জন সমন্বয়ক ও সহসমন্বয়ক এক যৌথ বিবৃতিতে রবিবার বলেন, কমপ্লিট শাট্ডাউন অব্যাহত থাকবে। আদালতের এই রায় পক্ষপাতদুষ্ট। পরবর্তীতে সরকার এই রায়কে যথেচ্ছা ব্যবহার করতে পারবে। 

সমন্বয়ক আবদুল কাদের স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে ৯ দফা উল্লেখ করে বলা হয়েছে সরকারকে এই দাবীগুলো মেনে নিতে হবে অবিলম্বে। এতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সব হত্যার দায় নিয়ে প্রকাশ্যে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান, সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করতে। দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। বিভিন্ন স্থানে হামলা ও হত্যার দায়ে ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের বরখাস্ত করতে হবে। অবিলম্বে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হল খুলে দিতে হবে। ঢাবি, জাবি রাবির উপাচার্য ও প্রক্টরদের পদত্যাগ করতে হবে। ছাত্র জনতার উপর হামলা করে হত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ কর্মীদের আটক করে হত্যা মামলা দায়ের করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার করতে হবে। শহীদ ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপুরণ প্রদান করতে হবে। ঢাবি, জাবি, রাবি ও চবিতে ছাত্রলীগে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে কোনো ধরনের হয়নারি করা যাবে না। 

দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র সমাজ পিছু হটবে না বলে তারা মন্তব্য করেন।