ঢাকায় বিক্ষোভ দমনে হেলিকপ্টার থেকে গুলি

ঢাকায় বিক্ষোভ দমনে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়েছে। চলমান আন্দোলনে সরকারি আইনশৃংখলাবাহিনী ও সরকারি সংঠনের হামলায় ব্যাপক প্রাণহানীর সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর পরই ইন্টারনেটসহ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সারাবিশ্ব থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বাংলাদেশ।

সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করছেন, বাংলাদেশকে সারাবিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে গণগহত্যা পরিচালনা করেছে সরকার। এই গণহত্যা পরিচালনায় বিভিন্ন ধরনের যান ব্যবহারের পাশাপাশি হেলিকপ্টার থেকেও গুলি করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী।

মঙ্গলবার ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা পুনস্থাপিত হলে ঢাকার অধিবাসীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মিরপুর ১০ ও ১৩ নম্বর, মোহাম্মদপুর এবং ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কে তারা হেলিকপ্টার থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর গুলি করতে দেখেছেন। 

ঢাকার সাইন্সল্যাবে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বৈষম্য নিরসন ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক জানিয়েছেন, তাদের মিছিলের উপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়। ওই সময়ই সেখানে কয়েকজন নিহত হন। 

বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পরই সরকারি বিভিন্ন বেসামরিক বাহিনীর হেলিকপ্টারগুলো ঢাকার আকাশে উড়তে শুরু করে। কারণ রাজপথে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী দাড়াতে পারছিল না। ক্রমশই বিক্ষোভে জনস্রোত বাড়তে থাকলে আকাশে পুলিশ, র‍্যাবের হেলিকপ্টার থেকে বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা করা হয়। 

যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে নিহত ৮ বছরের এক শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, উপর থেকে করা গুলিতে ওই শিশু নিহত হয়েছে। শিশুটি ঘরের মধ্যেই ছিল। এই সময় ঘরের উপর থেকে ও বাইরে থেকে একযোগে গুলি করা হলে শিশুটি নিহত হয়। 

আন্দোলনরত বেসামরিক জনতার উপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার বিষয়টি মানবাধিকার সংস্থাগুলোও খতিয়ে দেখবে বলে  জানা গেছে। 

অবশ্য র‍্যাবের পক্ষ থেকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। র‍্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ বলেছেন, সহিংসতা ঠেকাতে র‌্যাব হেলিকপ্টার থেকে কোনো গুলি করেনি। এগুলো প্রপাগান্ডা। তবে তিনি হেলিকপ্টার থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ও গ্যাস সেল ফায়ার করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

মঙ্গলবার কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জনান তিনি।

উল্লেখ্য কোটা সংস্কারের দাবীতে ১৭ জুলাই থেকে ঢাকায় শিক্ষার্থী বিক্ষোভ শুরু হয়। সরকার শিক্ষার্থীদের উপর দমন চালিয়ে ব্যাপন প্রানহানী ঘটিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন।